প্রতিবন্ধী ও সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ জালিয়াতি কান্ডে অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুই স্কুল কর্মচারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই অভিযুক্তদের ছাড়ানোর দাবীতে বুধবার রাতভর করনদিঘি থানার সামনে মদ্যপ অবস্থায় তান্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা।
প্রতিবন্ধী ও সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ জালিয়াতি কান্ডে অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুই স্কুল কর্মচারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই অভিযুক্তদের ছাড়ানোর দাবীতে বুধবার রাতভর করনদিঘি থানার সামনে মদ্যপ অবস্থায় তান্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ৪ ঘন্টা ধরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলে। ভোররাতে পুলিশের ওপর আক্রমন চালায় ওই দুষ্কৃতীরা। আহত আইসি সহ ৯ জন পুলিশকর্মী। গ্রেফতার নয় জন দুষ্কৃতী।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছে লাহুতারা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাদিরুদ্দিন। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল ফাইজুল রহমান ও করনদিঘি ব্লক যুব তৃণমুলের সভাপতি মহম্মদ কওসর বলে দাবী বিজেপির।
প্রতিবন্ধী ও সংখ্যালঘু স্কলারশিপ জালিয়াতি কান্ডে গ্রেপ্তার রাঘবপুর স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক তথা নোডাল শিক্ষক সাকির আলী, এবং প্যারা টিচার এহেসান আলী।
এই দুই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করে করনদিঘি থানার পুলিশ। রাতে ওই গ্রেফতার হওয়া স্কুল কর্মচারীদের থানা থেকে ছাড়াতে কিছু স্থানীয় নেতৃত্ব করনদিঘি থানা ঘেরাও করে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
নিজেদের দাবী পুরনের জন্য রাত ১২ টা থেকে ৩৪ নাম্বার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দুষ্কৃতীরা। রাত ৩টের পর পুলিশের ওপর চড়াও হয় তারা। এরপরেই র্যাফ ও পুলিশ বাহিনী ওই আন্দোলনকারীদের হঠিয়ে দেয়। গ্রেফতার হয় ৯ জন।
বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু রায়গঞ্জের বোগ্রামে চায়ে পে চর্চায় বসে অভিযোগ করেন, "স্কলারশিপ জালিয়াতি কান্ডে কিছু তৃণমুল নেতা গ্রেফতার হওয়ায় তৃণমুল কংগ্রেস করনদিঘি থানায় তান্ডব চালায়, বোমাবাজি করে, গুলি চালায়।
তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালা বোমাবাজি বা গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন শুনেছি তৃনমুল কংগ্রেস থানার সামনে আন্দোলন করছিল। কেন এই আন্দোলন সেটা আমরা খোজ নিয়ে দেখছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেই বলা যাবে।