বুধবার সকাল থেকে তৎপর মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল ও কলেজে পঠন পাঠন শুরু হতে চলেছে, তাই আজ থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে।
প্রায় ২০ মাস পর ১৬ নভেম্বর (16 November) থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল ও কলেজ (School and College)। উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়ে একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপর শিক্ষা দফতর (Education Department) থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠানো হয় স্কুলগুলিকে। আর সেই নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)।
বুধবার সকাল থেকে তৎপর মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল ও কলেজে পঠন পাঠন শুরু হতে চলেছে, তাই আজ থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে। বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ থেকেই ঝাড়া মোছার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আর যারা এখনও কাজ শুরু করেনি তাদের দু-এক দিনের মধ্যেই বিদ্যালয় স্যানিটাইজেশন (Sanitization) অভিযান শুরু করার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- Krishna Kalyani Join TMC- জল্পনার অবসান, তৃণমূলে যোগ দিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে প্রায় ২০ মাস পর স্কুল-কলেজ খুলতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় উৎসাহিত বিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শিক্ষরা। তাই এই ঘোষণার পর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ক্লাস রুম থেকে বিদ্যালয় চত্বর পরিষ্কার করার কাজে মন লাগিয়েছে একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে এদিন নবগ্রাম সিঙ্গার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “বিদ্যালয়ে ছুটি থাকলেও আমরা পড়ুয়াদের অনলাইনে পাঠ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। কিন্তু, গ্রাম বাংলায় তা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। তাই বিদ্যালয় খুলছে জেনে আমরা খুব খুশি হয়েছি। এই বিষয়ে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে আমরা ক্লাস রুম ও বিদ্যালয় চত্বর পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
আরও পড়ুন- আপনার অজান্তেই কি আধার কার্ড কোথাও ব্যবহার হয়েছে, জেনে নিন খুব সহজেই
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার কোনওরকম খবর না পাওয়ায় রীতিমত মন খারাপ লালবাগ বয়েজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শুভাশিস পাল রাজুর। তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত আহত হয়েছি। ছোট ছোট পড়ুয়ারা ফোন করে স্কুল খোলার ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে। সবাই স্কুল খোলার অপেক্ষায় দিন গুনছে।” এসবের মধ্যে অন্যকথা শোনা গিয়েছে লালাগোলার প্রত্যন্ত গ্রামের লস্করপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের মুখে। তাঁর দাবি, "স্কুল কেন জঞ্জালময় হয়ে উঠবে। স্কুলে পঠন পাঠন না হলেও অন্যান্য কাজ চলেছে রুটিন মাফিক। ফলে স্কুল সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। যে কোনও দিন স্কুল খুলুক তাতে আমাদের কোনও রকম সমস্যা নেই। স্যানিটাইজও করা হয়েছে নিয়ম মেনে।”
আরও পড়ুন- 'কেউ বাঁচাতে পারবে না', আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে খুনের হুমকি, তদন্তে গোয়েন্দা
খোলার কথা শোনার পর স্কুলে যেমন প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ঠিক তেমনই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পড়ুয়ারাও। স্কুল ড্রেস তাদের গায়ে ঠিকমতো ফিট হচ্ছে কিনা তা স্কুলে যাওয়ার আগে একবার দেখে নিচ্ছে তারা। পড়ুয়াদের কথায়, দীর্ঘ দিন বিদ্যালয় বন্ধ তাই স্কুল ড্রেস গায়ে ঠিক মত হচ্ছে কি না তা ঘোষণা মাত্রই তারা পরখ করে নিয়েছে। বিদ্যালয় খুলছে সেটা তাদের কাছে খুবই আনন্দের বিষয়। কিন্তু, পোশাকগুলো সবই ছোট হয়ে গিয়েছে। তাই একটু মন খারাপ তাদের।