শিক্ষাগত যোগ্যতা ইংরাজিতে স্নাতকোত্তর। আর পেশা হল চুরি। রাজ্যে এমনই এক চোর ধরা পড়ল পুলিশের জালে। চুরিই হল আসানসোলের বাসিন্দা সৌমাল্য চৌধুরীর নেশা ও পেশা। আগে অবশ্য এটা তার নেশা ছিল। কিন্তু, পরে সেটাকেই সে পেশা বানিয়ে নেয়। একাধিক চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সে। হাওড়ায় গয়না চুরির ঘটনার সূত্র ধরে অবশেষে পাঁশকুড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করল সাঁকরাইল থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমাল্যর বাবা সরকারি আধিকারিক। আর মা ছিলেন শিক্ষিকা। ছেলের কুকীর্তির কথা জানতে পেরে মা অনেক আগেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন। কিন্তু, তাতেও শোধরায়নি ছেলে। আগে সৌমাল্যর কাছে চুরি করা ছিল নেশা। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটাকেই পেশা বানিয়ে নেয় সে। আসানসোল, হাওড়া ও হুগলির একাধিক চুরির ঘটনার সঙ্গে সৌমাল্যর যোগ রয়েছে। প্রায় ২০টি চুরির ঘটনার সঙ্গে তার যোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন- বৈঠকে রাষ্ট্রপতির দিকে পা তুলে বসে রাজ্যপাল, রীতিনীতির পাঠ শেখালেন কুণাল ঘোষ
চলতি মাসের ৯ জুন হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত দুইলা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ১০ ভরি গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিল সৌমাল্য। চুরির পর স্কুটি করে পালিয়েছিল সে। সেই সময় ফ্ল্যাটের এক আবাসিক ওই স্কুটির নম্বর লিখে রেখেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই আজ পাঁশকুড়া থেকে সৌমাল্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দুই সহযোগী প্রকাশ শাসমল ও মাধব সামন্তককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগে আসানসোলে একটি চুরির ঘটনায় কয়েকমাস জেল খেটেছিল সৌমাল্য। কিন্তু, তারপরও নিজের স্বভাব বদলায়নি সে। একইভাবে রীতিমতো দল বানিয়ে চালিয়ে গিয়েছে এই পেশা। হাওড়া সিটি পুলিশের সিডি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাকরিয়া জানিয়েছেন, হাওড়ায় প্রায় ৯টি চুরির ঘটনার সঙ্গে সৌমাল্য যুক্ত রয়েছে। আজই তাদের হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে পুলিশ। জেরার মাধ্যমে অন্য চুরিগুলির কিনারা করা হবে।