ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ফের প্রশ্ন উঠে গেল সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে। নরেন্দ্রপুর থানা এসলাকার একটি ডাকাতির ঘটনায় ধৃত চারজনের মধ্যে তিনজনই বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার রাতে নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত খুঁড়িগাছি নেতাজিনগর আমবাগান এলাকায় অরূপ দত্তের বাড়িতে পুলিশ সেজে ডাকাতি করতে আসে একদল দুষ্কৃতী। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দলের পাণ্ডা রেজাউল শেখ রয়েছে। রেজাউল ছাড়াও মামন শেখ ও সবুজ শেখ বাংলাদেশের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্রসস্ত্র, নগদ টাকা ও সোনার গহনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি পুলিশের পোশাকও।
আরও পড়ুন- মাকে বাঁচানোর চেষ্টা, মদ্যপ বাবার ধড় থেকে মাথা নামিয়ে দিল ছেলে
আরও পড়ুন- রেল লাইনে টিকটকের নেশা, প্রাণ গেল কিশোরের, দেখুন ভিডিও
বছর দুয়েক আগে সোনারপুর বাজারে সোনার দোকানে ডাকাতি ও দোকান মালিককে খুনের ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ ছিল বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এরই মধ্যে এই সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় নতুন করে ডাকাতি ও তাতে বাংলাদেশিদের যোগ প্রশাসনের কপালে যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রেজাউল আগেও ডাকাতির অভিযোগে কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সাত বছর জেলও খেটেছে সে। কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর আবারও সাগরেদ জোগাড় করে ডাকাতির কাজে নেমে পড়েছে।
রবিবার গভীর রাতে নরেন্দ্রপুরে পুলিশ সেজে ডাকাতি করতে এসে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে যায় একজন ডাকাত। তাকে বেধড়ক মারধরের পর নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত ছিল সে সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে এদের মধ্যে রেজাউলকে বাঘা যতীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার মোট এগারো জন ডাকাত জড়িত ছিল। ধৃতদের মঙ্গলবার বারুইপুর আদালতে তোলার পাশাপাশি বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে ও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।