এখনও পর্যন্ত অধীরগড়ে একবারও নির্বাচনে জিতে বোর্ড গঠন করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। এবার সেই অধীর মিথ ভাঙতে নতুনদের কাঁধেই ভরসা রাখছে রাজ্য নেতৃত্ব।
রাজনীতির খাতায় 'অবিসংবাদিত' বলেই পরিচিত। তিনি আর কেউ নন বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর সেই অধীরের খাসতালুক বহরমপুর পৌরসভা (Baharampur Municipality) দখলে কংগ্রেসকে (Congress) পরাস্ত করতে জোড়া কৌশল অবলম্বন করছে শাসক দল তৃণমূল (TMC)। একদিকে ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে অর্ধেকের বেশিতে যেমন নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচিতদের পুরোপুরিভাবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেই জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি।
সেক্ষেত্রে বহরমপুর পুরসভা দখলে ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে নতুন প্রার্থীকে জোড়াফুলের প্রতীকে লড়াইয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০টি ওয়ার্ডে গতবারের কাউন্সিলারদের প্রার্থী করা হয়েছে। নতুনদের কর্ম তৎপরতা ও পুরনো কয়েকজনের অভিজ্ঞতার মিশেলে বহরমপুর পুরসভা দখলের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পুরসভায় জয় পাওয়া তৃণমূলের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ। কারণ, এখনও পর্যন্ত অধীরগড়ে একবারও নির্বাচনে জিতে বোর্ড গঠন করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। এবার সেই অধীর মিথ ভাঙতে নতুনদের কাঁধেই ভরসা রাখছে রাজ্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশেও হারবে বিজেপি, অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে যোগী ব্রিগেডকে আক্রমণ মমতার
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশেও 'খেলা হবে', বল হাতেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মমতার
মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, দল খুবই ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুব প্রজন্মের নেতৃত্বকে সামনে এনেছে। তাঁদের উপরে ভরসা রেখে আমরা পুরসভা ভোটের লড়াইয়ে নামলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই নতুন প্রজন্মকে গুরুত্ব দেন। তাই আমাদের প্রার্থীতালিকায় নতুনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পুরসভায় স্বচ্ছ বোর্ড গঠনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী"। বহরমপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবারের নতুন প্রার্থী পাপাই ঘোষ বলেন, বহরমপুর পুরসভার অন্যতম বড় ওয়ার্ড এটি। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। শুধু ৪ নম্বর ওয়ার্ড নয়, ২৮টি ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থীরাই জিতবেন। এবার রাজ্যব্যাপী প্রার্থী তালিকায় যুব প্রজন্মের উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা রেখেছেন। আমরা নিজেদের উজাড় করে দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনব"।
১ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী কাকলি গোস্বামী, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী উমা ঘোষ প্রথমবার লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডেও নতুন প্রার্থী মোহর বন্দ্যোপাধ্যায়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় ৮ নম্বরে ববিতা ভাল্লার উপর ভরসা রেখেছে নেতৃত্ব। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অভিক চৌধুরী, ১৩ নম্বরে প্রার্থী অপূর্ব দাস ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী হিসেবে রীতা হালদার চট্টোপাধ্যায় লড়াই করছেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী অরুণ কুমার সিংহ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ন্ত চক্রবর্তী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী ভীষ্মদেব কর্মকার লড়ছেন। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে সঞ্চিতা ঘোষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ২২ নম্বরে সোনু ঘোষ ও ২৩ নম্বরে সৌমিমা চট্টরাজও এবার নতুন মুখ। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মৌমিতা রায়চৌধুরী, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্ধার্থ গুপ্ত ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কাউসার তৃণমূলের নতুন প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। বাকি ১০টি ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলাররা লড়ছেন।