সংক্ষিপ্ত

শুধুমাত্র ৪, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিরোধীরা।  ১,৪ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। তবে বাকি কোনও ওয়ার্ডে আর প্রার্থী দিতে পারেনি কেউই। 
 

পুরভোটের হাত ধরেই গোটা রাজ্যেই বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। এদিকে বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হলেও পুরভোটে ফের ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বিরোধীরা। অন্যদিকে বিরোধীদের এক বিন্দুও মাটি ছাড়তে নারাজ শাসক দল। এমতাবস্থায় নির্বাচনের আগেই কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাঁইথিয়া পুরসভা দখল করল তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি তৃণমূল।  সূত্রের খবর, ১৬টি ওয়ার্ডের সাঁইথিয়া পুরসভায় ১৩ টি ওয়ার্ডে তৃণমূল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। শুধুমাত্র ৪, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিরোধীরা।  ১,৪ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। তবে বাকি কোনও ওয়ার্ডে আর প্রার্থী দিতে পারেনি কেউই। 


এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সহ বলেন, "তৃণমূল সর্বত্র আমাদের প্রার্থীদের মারধর করেছে। পঞ্চায়েতের কায়দায় মনোনয়ন জমা করেছে তৃণমূল। এরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে গলা টিপে ধরে"। যদিও কংগ্রেসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তরুণ ঘোষ সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করেছেন।  এদিকে ভোট প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাঁইথিয়া শহর সভাপতি দেবাশিস সাহা বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচনে লড়াই করে বোর্ড গঠন করব। কিন্তু কেউ যদি মনোনয়ন জমা না করে তাহলে আমরা কি করব। এখন বিজেপি বলে কিছু নেই। ওদের সমস্ত কর্মী এখন তৃণমূলে। আমরা কাউকে ভয় দেখায়নি"।  

আরও পড়ুন-ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে দুর্নীতি ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন, সরকারি কর্মকর্তাদের 'বাড়তি' আয়ে বিশেষ নজর


আরও পড়ুন- বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ, শিলিগুড়িতে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য


এদিকে এর আগে লোকসভা এবং বিধানসভাতেও এই পুরসভায় বড় ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল-কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়ায় ব্যাপক জয় পেয়েছিল গেরুয়া শিবিপও। তবে গত পুরভোটে শুধুমাত্র ৩টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় বিজেপি। বাকি আসনে জয়ের ফোটে ঘাসফুল। অন্যদিকে সাঁইথিয়া পুরসভায় যখন এই কাণ্ড ঘটছে তখন কার্যত একই ছবি দেখতে পাওয়া গেল বজবজ পুরসভাতেও। রাজ্যের এই পুরসভাটিরও দখল নিয়েছে তৃণমূল। এদিকে বুধবারই ছিল মনোনয়ন পেশের শেষদিন। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে ২০টির মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেননি বিরোধীরা। স্বভাবতই সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণেই এই পুরসভাতেও জয়ী হল শাসক দল। 

আরও পড়ুন-বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশেও হারবে বিজেপি, অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে যোগী ব্রিগেডকে আক্রমণ মমতার

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশেও 'খেলা হবে', বল হাতেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মমতার