জখম কংগ্রেস নেতার নাম গৌতম সাহা। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন আইএনটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
রাত দুপুরে আইএনটিইউসি নেতার (INTUC Leader) বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) বিরুদ্ধে। কংগ্রেস নেতার স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পর্ণশ্রীর (Parnasree) বেহালা রয়েড পার্কে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পর্ণশ্রী থানায় (Parnasree Police Station) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, পুলিশকে ঘটনার কথা জানানোর পরও তেমন কোনও লাভ হয়নি। পুলিশের সামনেই কংগ্রেস নেতার (Congress Leader) বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে অভিযোগ জানানোর পর এখনও গ্রেফতার (Arrest) হয়নি অভিযুক্ত।
জখম কংগ্রেস নেতার নাম গৌতম সাহা। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন আইএনটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছেন, গৌতম সাহা সেই সময় নিজের বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ, একদল দুষ্কৃতী যারা ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত তারাই বাড়ির নিচে পার্ক করে রাখা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বাড়িতেও ঢোকারও চেষ্টা করে। স্কুটিও ভেঙে দেয়। পরে গাড়িটি দুষ্কৃতীরা পেট্রল দিয়ে জ্বালানোর চেষ্টা করলে গৌতমবাবুর স্ত্রী দীপা বাগড়ি সাহা বাধা দেন। তখনই তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- রাজ্যের গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্যপালকে সরানো হোক, সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন সুদীপের
কেন এই হামলা?
কংগ্রেস নেতার বয়ান অনুযায়ী, শনিবার রয়েড পার্কে একটি রাজিব গান্ধীর বেদি তৈরি করে বেহালা ব্লক কংগ্রেস। অভিযোগ, রবিবার সকালেই ওই বেদিটি ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার নেপথ্যে বেশ কয়েক জনের নাম উঠে আসে। পাপাই, রাজা ঘোষ দোস্তিদার, বাপ্পা, সোমু নামে কয়েকজনের নাম উঠে আসে। প্রত্যেকেই তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি কংগ্রেস নেতার।
আরও পড়ুন- ঘুরে বেড়াচ্ছে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের আত্মা, দোহমনিতে 'ভুত'-আতঙ্ক
গৌতম সাহা বলেন, "কংগ্রেস করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বেদি ভাঙার সময়ে ভিডিও করেছিলাম, তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়াতেও দিয়েছিলাম। সেই থেকেই ভিডিও ডিলিট করে দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তা না করাতেই এই হামলা।" এই মুহূর্তে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই কংগ্রেস নেতা। যদিও এই ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি, বালুরঘাটে শুরু পড়ুয়াদের সার্ভে
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। অভিযোগ পুলিশের সামনেই কংগ্রেস নেতাকে মারধর করার চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। পুলিশ কর্তাদের সামনেই তাঁকে খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর অধীর চৌধুরী ও প্রদীপ ভট্টাচার্য ফোন করে গৌতম সাহার খোঁজ নেন। এই মুহূর্তে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন কংগ্রেস নেতা। অভিযোগ জানানোর পরও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত।