কাটমানি ফেরানোর টোপ দিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সহ ৪

  • জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির ঘটনা
  • কাটমানি ফেরত চাইতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
  • অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ চার
  • বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে গণধর্ষণ

debamoy ghosh | Published : Aug 20, 2019 10:19 AM IST / Updated: Aug 20 2019, 04:07 PM IST


সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিল তৃণমূল নেতা। আর সেই টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে তৃণমূল নেতা এবং তার সঙ্গীদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপ্টিবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। 

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বুলবুল আলম চিলখানা বুথ এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনার পর থেকেই বুলবুল এবং তার তিন সঙ্গী পলাতক। 

অভিযোগ, সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নিজেরই প্রতিবেশী ওই গৃহবধূর থেকে ছ' মাস আগে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল বুলবুল। গৃহবধূর স্বামী ভুটানে কাজ করেন এবং বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি। নির্যাতিতার অভিযোগ, বুলবুলকে টাকা দেওয়ার পরেও বারংবার তাগাদা দিয়ে তিনি ঘর বা ঘরের টাকা ফেরত পাননি। গৃহবধূ ওই অভিযুক্ত যুবকের কাছে টাকা ফেরত চাইলে প্রথমে সে তা দিতে অস্বীকার করে। শেষ পর্যন্ত, গত ১৪ অগাস্ট বুধবার বুলবুল ওই গৃহবধূকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায়।

আরও পড়ুন- ঝুলনের থিম এবার কাটমানি, সততার প্রতীক নিয়েও খোঁচা বর্ধমানে

আরও পড়ুন- চাকরির বিনিময়ে কোটি টাকা কাটমানি, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দিনেই মহিষাদলে পোস্টার

নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানে পৌঁছনোর পরেই তার উপরে চড়াও হয় বুলবুল এবং তার তিন সঙ্গী। চারজন মিলে গণধর্ষণ করে তাকে। অভিযুক্ত বাকি তিনজনের নাম জাহেদুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন ও আফিদুল হক। নির্যাতনের পরে কাউকে কিছু না জানানোর জন্যও ওই গৃহবধূকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

বাড়িতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে একাই থাকেন নির্যাতিতা। প্রথমে ভয়েই কাউকে কিছু জানাননি তিনি। এর পরে ফোনে তিনি গোটা বিষয়টি স্বামীকে জানান।  সোমবার ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। 

যদিও, এই ঘটনায় কার্যত অভিযুক্ত নেতার পাশে দাঁড়িয়ে ময়নাগুড়ি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে ঘটনা। সাজানো হয়েছে গল্পের মতো। ১৪ অগাস্টের ঘটনা নিয়ে এতদিন পরে পুলিশে অভিযোগ কেন হবে?'

এলাকার বিজেপির কিষাণ মোর্চার সভাপতি সুরেশ রায় বলেন,'মহিলার অভিযোগের কথা শুনেছি। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আমরা এই দাবি জানাই।'
 

Share this article
click me!