সংক্ষিপ্ত

  • ঝুলনের উৎসবের থিম কাটমানি বিক্ষোভ
  • পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ঘটনা
  • ভাবনার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, দাবি উদ্যোক্তাদের

পত্রলেখা বসু চন্দ্র, পূর্ব বর্ধমান: সিরিয়াস রাজনীতির আলোচনার বাইরে পাড়ার আড্ডা বা বাসে, ট্রামের হাল্কা আলোচনাতেও উঠে আসছিল কাটমানি। এবারে তা একেবারে ঝুলনের থিম হিসেবে দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। শুধু কাটমানি ফেরত চাওয়ার সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ছবিকেই ফুটিয়ে তোলা নয়, 'সততার প্রতীক' নিয়ে স্পষ্ট কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। 

পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ঝুলন উৎসবেই দেখা গেল এই ছবি। স্থানীয়রা এই ঝুলন উৎসবকে বলেন মানুষ ঝুলন উৎসব। কারণ পুতুল দিয়ে নয়, মানুষকে সাজিয়েই নানা রকম ভাবনা ফুটিয়ে  তোলা হয় এই ঝুলন উৎসবে। এ বারও ছ' দিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। 

আরও পড়ুন- 'দিদিকে বলো'-র প্রচারে কাটমানি বিক্ষোভ, বিধায়ক-সহ তিন নেতাকে আটকে রাখলেন মহিলারা

প্রতি  বছরই এই ঝুলন উৎসব দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। এবার তার ভিড়ের বহর যেন আরও বেড়েছে। তার কারণ ঝুলনের অংশ হিসেবে কাটমানির বিষয়টিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একজন রাজনৈতিক নেতা সেজে বসে রয়েছে একটি ছেলে। আর তাকে ঘিরে কাটমানি ফেরত চাইছেন বিক্ষোভকারীরা। হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, 'কাটমানি ফেরত চাই।'

স্বভাবতই এমন ভাবনা দেখে প্রশ্ন উঠছে এর পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে কি না। তার উপর যে এলাকায় এই ঝুলন উৎসব হয়েছে, সেখানে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও এই উৎসবের উদ্যোক্তা বেলারি সূর্য সংঘের কর্তাদের দাবি, এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক বার্তা নেই। মানুষকে আকর্ষিত করতেই এমন ভাবনা। এই ঝুলন উৎসব ঘিরে প্রতিযোগিতাও হয়। যাঁরা ভালভাবে নিজেদের ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে পারেন, তাঁদেরকে পুরস্কৃতও করা হয়।