আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: মুখ খুললে রেহাই নেই কারও! নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার প্রতিবাদ করে এবার প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়লেন খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। এমনকী, তাঁকে বালি মাফিয়ারা তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কিন্তু গ্রামবাসীদের বাধা সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ঘটনাস্থল, বীরভূমের নলহাটি।
আরও পড়ুন: বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার ফেসবুক পোস্ট-বিতর্ক, বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে
বন্যা হবে না তো? আশঙ্কা কিন্তু বাড়ছে ক্রমশই। দীর্ঘদিন ধরে নলহাটির বৈধরা জলাধারের কাছে ব্রহ্মণী নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বালি মাফিয়ারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে যে, নদীর বাঁধ কেটে দেওয়ার চেষ্টা হয়। নদী থেকে এভাবে বালি তোলার প্রতিবাদ করেন স্থানীয় বাউটিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কৈলাশ লেট। তিনি আবার একসময়ে ওই পঞ্চায়েত প্রধানও ছিল। এরপর বেশ কয়েকদিন বালি তোলা বন্ধ ছিল।
শুক্রবার সকালে যখন এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিল, তখন খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কৈলাশ লেটকে বালি মাফিয়ারা গাড়ি করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় রক্ষা পান তিনি। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের নলহাটি থানায় জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান দীর্ঘক্ষণ। কৈলাশ লেট বলেন, 'যেভাবে বাঁধের মাটি কেটে বালি তোলা হচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি চাষের জমি বিলীন হয়ে যাবে নদীর গর্ভে। বন্য়া হলে গ্রাম ভেসে যাবে। প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।'
আরও পড়ুন: 'বিজেপি করার অপরাধ', তৃণমূলের 'মারে মাথা ফাটল' বুথ সভাপতির
এদিকে যার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠেছে, সেই পিয়ারুল শেখের দাবি, 'প্রধান থাকাকালীন ঠিকাদারের কাজ পাইয়ে দেওয়া নাম আমার কাছ থেকে টাকা নেয় কৈলাশ। কিন্তু কাজও দেয়নি টাকাও দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।' তাহলে পঞ্চায়েত সদস্যকে কারা তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।