একশো দিনের প্রকল্পের টাকা 'আত্মসাৎ', তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ দলেরই নেতার

  • ফের পঞ্চায়েত দুর্নীতির অভিযোগ
  • একশোর দিনের প্রকল্পের টাকা 'আত্মসাৎ' তৃণমূলের প্রধানের
  • অভিযোগ খোদ দলেরই বুথ সভাপতির
  • বীরভূমের মুরারই-এর ঘটনা
     

Asianet News Bangla | Published : Jul 11, 2020 4:21 PM IST

আশিস মণ্ডল, বীরভূম: তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এবার ১০০ দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন দলেরই বুথ সভাপতি। তদন্তে আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। বেজায় অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল।

আরও পড়ুন: মটন কিনলে চিকেন ফ্রি, লকডাউনে 'কম্বো অফার' মাংস ব্যবসায়ীদের

জানা গিয়েছে, বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বঠিয়া মৌজায় ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে আটফুকার মাঠনালা সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৬৩৬ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ঠিক হয়, ৮৪৫ জন অপ্রশিক্ষিত শ্রমিক দিয়ে মাঠনালা সংস্কার করা হবে। অন্যদিকে ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে বঠিয়া জুনিয়ার হাইস্কুলের সামনে মাটি ভরাটের জন্য ৬২ হাজার ২৭৯ টাকা বরাদ্দ হয়। দুটি ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের বঞ্চিত করে জেসিবি দিয়ে কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বঠিয়া সংসদের তৃণমূলের বুথ সভাপতি এক্তার আলি। তিনি বলেন, 'স্কুলে মাটি ভরাটের জন্য একটিও শ্রমিক না লাগিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। মাঠনালা সংস্কারের ক্ষেত্রে মাত্র ৩০০ শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। ফলে শ্রমিকদের বঞ্চিত করে বঠিয়া সংসদের সদস্যা অনিতা মাল তার স্বামী শ্রীমন্ত মাল শ্রমিকদের বঞ্চিত করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।'

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রীমন্ত মাল বলেন, 'স্কুলের কাজে অনেক দূর থেকে মাটি আনতে হয়েছিল। তাই জেসিবি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে মাঠনালা সংস্কার সম্পূর্ণ হয়নি। তাই টাকা তোলা হয়নি। যারা অভিযোগ করছে তারা তৃণমূলের নামে কালিমালিপ্ত করার জন্য এসব করছে। ওরা তৃণমূল করলে মিথ্যা অভিযোগ আনত না”। যদিও গ্রামবাসীদের তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদনে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয়েছে মাঠনালা সংস্কারের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। তবে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক হিসাবে ৬১১২০ টাকা তোলা হয়েছে। অন্যদিকে স্কুলে মাটি ভরাটের ক্ষেত্রে শ্রমিক মজুরি বাবদ ৫৭৩০০ টাকা তোলা হয়েছে। সুপারভাইজার ও তথ্য বিবরণী বোর্ডের টাকা দেওয়া হয়নি। 

আরও পড়ুন:করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ, রাজ্যের এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পেরোল

পঞ্চায়েত প্রধান সোনালী মাল বলেন, “দুটি কাজেই শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। যারা অভিযোগ করছেন তারা ঠিক বলছেন না”। বিডিও নিশীথ ভাস্কর পাল বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সোমবার এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে দেখব। তারপরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Share this article
click me!