TMC Leader: মেয়ের বিয়ের চিন্তায় ঘুম উড়েছিল, অসহায় বৃদ্ধার পাশে তৃণমূল নেতা

মেয়ের বিয়ের চিন্তায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন রুবেদা বিবি। সেই বিধবার ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন শিক্ষক নেতা বুলবুল। এর আগেও বিভিন্ন সামাজিক কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। 

Asianet News Bangla | Published : Nov 8, 2021 9:18 AM IST / Updated: Nov 08 2021, 05:32 PM IST

পরিবারে আর্থিক সচ্ছ্বলতা (Financial Condition) একেবারেই নেই। মেয়ের বিয়ে (Daughter Marriage) কীভাবে দেবেন তা বুঝতেই পারছেন না দরিদ্র মা (Poor Mother)। মেয়ের বিয়ের চিন্তায় রীতিমতো হতাশা গ্রাস করেছে তাঁকে। অবশেষে বিধবা ওই মহিলার মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন এলাকার প্রাথমিক শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতা (TMC Leader) বুলবুল খান (Bulbul Khan)। 

মেয়ের বিয়ের চিন্তায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন রুবেদা বিবি। সেই বিধবার ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন শিক্ষক নেতা বুলবুল। এর আগেও বিভিন্ন সামাজিক কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। উল্লেখ্য, রুবেদা বিবির বিয়ে হয়েছিল মালদহের হরিশ্চদ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রামপুর গ্রামে। বিয়ের ৭ বছর পর স্বামী অসনুল হকের মৃত্যু (Death) হয়। তার কিছুদিন পর রুবেদা বিবি তাঁর এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে হরিশ্চদ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়তের বাংরুয়াতে বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। তাঁর মেয়ের নাম আসমিনা খাতুন ও ছেলের নাম রহিম আলি। সংসার চালানোর জন্য দিনমজুরের কাজ করেন রুবেদা। এছাড়া বাড়তি আয়ের জন্য ধানের সময় ধান কেটে কোনও মতে সংসার চালাতেন।

আরও পড়ুন- 'মমতাই প্রথম বিরোধিতা করেছিলেন', নোটবাতিলের বর্ষপূর্তিতে মনে করালেন ডেরেক

পরিবারে অভাবের তাড়নায় রুবেদা ছেলে ও মেয়েকে বেশিদূর পড়াতে পারেননি। বর্তমানে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকেন। নিজস্ব বাড়িও নেই। এরই মধ্যে হঠাৎ করে তাঁর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। এদিকে মেয়ের বিয়ে কীভাবে দেবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। কোথা থেকে টাকা জোগার করবেন তা বুঝতে পারছিলেন না। এদিকে টাকা না থাকলে মেয়ের বিয়েও দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই আরও বেশি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কোথায় দিয়ে কী হবে তা ভেবেই কূল পাচ্ছিলেন না। রীতিমতো চিন্তার মধ্যে তাঁর দিন কাটছিল। অবশেষে তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বুলবুল খান।   

আরও পড়ুন- ক্যাম্পে আচমকাই গুলি চালাল জওয়ান, মৃত্যু চার সিআরপিএফ কর্মীর

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার দক্ষিণ মুকুন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বুলবুল খান এই খবর পেয়েই ছুটে যান বৃদ্ধার বাড়িতে। আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি অন্য ভাবেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বৃদ্ধার দিকে। ভবিষ্যতে আরও কিছু সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি। এদিকে বুলবুলের কাছ থেকে সাহায্যের আশ্বাস পেয়ে হাসি ফুটেছে দরিদ্র বিধবার মুখে।

আরও পড়ুন- রবিবার রাতে কেঁপে উঠল সিকিম, কম্পন অনুভূত পশ্চিমবঙ্গেও

এ প্রসঙ্গে বুলবুল খান বলেন, "আমি এই দরিদ্র বিধবা মহিলার মেয়ের বিয়ের খবরটি শুনতে পেয়েছিলাম। উনি অর্থের জন্য বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করতে পারছিলেন না। আজকে আমি আমার তরফ থেকে যতটা সম্ভব তা দিয়ে সাহায্য করলাম।"

Share this article
click me!