সংক্ষিপ্ত

নোটবন্দির ৫ বছর পূর্তিতে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর মতে, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েই বিষয়টি স্পট করেছিলেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সেই সময়কার পাঁচটি টুইট তুলে ধরেছেন তিনি। 

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর (8 November) বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নোটবাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। বাতিল করা হয় পুরোনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। নোটবন্দির (Demonetisation) ৫ বছর পূর্তিতে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O'Brien)। তাঁর মতে, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েই (Mamata Banerjee) প্রথম বিষয়টির বিরোধিতা করেছিলেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর (TMC Leader) সেই সময়কার পাঁচটি টুইট (Tweet) তুলে ধরেছেন তিনি। 

২০১৬ সালে করা প্রথম টুইটে মমতা লিখেছিলেন, "এই কঠোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।" প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই সেই টুইট করেছিলেন মমতা। পরবর্তী টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, "প্রতিশ্রুতি মতো বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে পারেনি প্রধানমন্ত্রী। তাই নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এই সব নাটক করছেন।" পরবর্তী টুইটে তিনি লেখেন, "এটা একটা আর্থিক বিশৃঙ্খলা, দেশের সাধারণ মানুষকে বিপর্যেপ মুখে ঠেলে দিল।" এরপর এই সিদ্ধান্তের জেরে হওয়া সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে তিনি লিখেছিলেন, "আমার গবীর ভাই-বোনেরা যাঁরা ৫০০ টাকায় মাইনে পেয়েছেন তাঁরা এখন কী করবেন? কীভাবে তাঁরা চাল, আটা কিনবেন?" পাশাপাশি তিনি যে দুর্নীতি ও কালো টাকার বিপক্ষে রয়েছেন সেকথাও টুইটে তুলে ধরেছিলেন মমতা। লিখেছিলেন, "আমি কালো টাকা ও দুর্নীতির পুরোপুরি বিপক্ষে। তবে সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আগামীদিনে তাঁরা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন কীভাবে?" 

আরও পড়ুন- ক্যাম্পে আচমকাই গুলি চালাল জওয়ান, মৃত্যু চার সিআরপিএফ কর্মীর

 

 

আরও পড়ুন- রবিবার রাতে কেঁপে উঠল সিকিম, কম্পন অনুভূত পশ্চিমবঙ্গেও

পাশাপাশি আজ সকালে এই সংক্রান্ত একটি টুইট করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)। তিনি লেখেন, "নোটবন্দি যদি সফলই হতো তাহলে দুর্নীতির অবসান হল না কেন? কালো টাকা ফেরত আসেনি কেন? অর্থনীতি ক্যাশলেস হয়নি কেন? সন্ত্রাসবাদে আঘাত লাগেনি কেন? মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না কেন?"

 

 

আরও পড়ুন- 'ছেলে সীমান্ত অতিক্রম করেনি', কেন এই দাবি পাকিস্তানের গুলিতে নিহত শ্রীধরের মায়ের

দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh) নোটবাতিলকে ‘মনুমেন্টাল ডিজাস্টার’ (monumental disaster) বলে তোপ দেগেছিলেন। রাজ্যসভার (Rajya Sabha) ভাষণে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে দ্রুত গতিতে ছুটে চলা গাড়ির টায়ারে গুলি চালানোর সমান বলে তুলনা টেনেছিলেন। ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং কালো টাকার বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে নোটবাতিল ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেটা করতে গিয়ে বিরোধীদের থেকে তীব্র সমালোচনা জুটেছিল তাঁর। মন্ত্রিসভাকে এড়িয়ে মোদির এই সিদ্ধান্তকে হঠকারী বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন বিরোধীরা। নোটবাতিলের কোনও ইতিবাচক প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে আদৌ পড়েছে কিনা তা নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, আখেরে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। কালো টাকা উদ্ধার হয়নি৷ উল্টে দেশের অর্থনীতিতে ধাক্কা লেগেছিল।

YouTube video player