দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যখন রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চলছে, তখন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বীরভূমে কংগ্রেসের দেখানোর পথে বিধায়কদের ধরনায় বসার নির্দেশ দিল তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। আগামী ২৮ ডিসেম্বর নিজের বিধানসভা এলাকায় একদিনের প্রতীকী ধরনায় বসতে চলেছেন শাসকদলের বিধায়করা।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা বদলেছে ঝাড়খণ্ডে, এবার ম্যাসাঞ্জোরে নীল- সাদার আশায় অনুব্রত
বীরভূমে হাসন বিধানসভাকেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে। রামপুরহাটে মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদে ধরনায় বসেন সেখানকার বিধায়ক মিল্টন রশিদ। ধরনা চলে সাতদিন। শুধু তাই নয়, ধরনা চলাকালীন প্রতিদিন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজ্যপালের কাছে বার্তাও পাঠানো হয়। কংগ্রেস বিধায়কের স্পষ্ট বার্তা, 'প্রচুর জমায়েত করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা মানে নিজেদের ক্ষতি। কারণ, আমাদের করের টাকাতেই সরকারি সম্পত্তি কেনা হয়। তাই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অহিংস পথে আন্দোলনে নেমেছে। এভাবে আন্দোলন করেই সরকারে নড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।' দলের বিধায়কের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে রামপুরহাটে আসেন জঙ্গিপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এমনকী, কংগ্রেস বিধায়কের ধরনা মঞ্চে হাজির হন সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোমও। জানা গিয়েছে, বীরভূমে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদে কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদের অহিংস আন্দোলন নজর কেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বেরও। আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলায় দলের সমস্ত বিধায়ক নিজের এলাকায় একদিনের প্রতীকী ধরনায় বসার নির্দেশ দিয়েছেন রামপুরহাটে বিধায়ক ও কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ঘরে ফিরল যুবক, তেলেঙ্গানার পরিবারকে বড়দিনের উপহার দিল বাংলার পুলিশ
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনের সূচনা পর্বে রীতিমতো তাণ্ডব চলেছে রাজ্যের সর্বত্রই। কোথায় বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা, তো কোথাও আবার স্টেশনে পুড়েছে ট্রেনও। স্টেশনেও ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।