সারদার টাকা ফেরাতে চান, ইডি-কে জানালেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়

  • সারদার টাকা ফেরাতে চান তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়
  • চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানালেন সাংসদ
  • সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী
  • সারদা কাণ্ডে জেরা করতে ডেকে পাঠানো হয়েছে সাংসদকে

debamoy ghosh | Published : Jul 31, 2019 4:41 AM IST / Updated: Jul 31 2019, 10:49 AM IST

সারদা তদন্ত থেকে রেহাই পেতে এবার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থা ইডি-কে চিঠি দিয়ে সেই প্রস্তাব দিয়েছেন বীরভূমের সাংসদ। 

সারদা কাণ্ডে আগামী ৭ অগস্ট ফের শতাব্দী রায়কে তলব করেছে ইডি। কিন্তু অভিনেতা সাংসদ ইডিকে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত ব্যস্ততা থাকায় ওই দিন তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে সাত তারিখের পরে যে কোনওদিন তিনি হাজিরা দিতে পারেন। এর আগেও বীরভূমের সাংসদকে একাধিকবার তলব করা সত্ত্বেও নানা কারণে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। 

আরও পড়ুন- বাথরুমে গিয়েই উধাও, ইডি অফিস থেকে পালালেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্নে

সারদার অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী রায়। সংস্থার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং অনুষ্ঠানে দেখা যেত তাঁকে। বিনিময়ে সারদার থেকে মোটা টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, শতাব্দী রায় সারদার থেকে মাসে দু' লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক পেতেন বলে তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন।  সেই সূত্রেই তাঁকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া সেই টাকার পুরোটাই ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন শতাব্দী রায়। এর আগে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও একইভাবে সারদার থেকে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে শতাব্দী রায়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও ইডি-র তদন্তকারীরা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলেই খবর। 

মঙ্গলবারই সারদা মামলায় তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষকে ডেকে জেরা করে ইডি। সারদার ব্যবসা চালু থাকার সময়ে তৃণমূলের দলীয় মুখপত্র 'জাগো বাংলা'-র জন্য অর্থের সংস্থান কোথা থেকে হতো, সেই সংক্রান্ত বিষয়েই তাঁকে জেরা করা হয় বলে খবর। অগস্টের প্রথম সপ্তাহে 'জাগো বাংলা'-র আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জেরা করার জন্য তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকেও ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 
 

Share this article
click me!