মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত প্রধানকে কার্যালয়ের ভিতরেই বেধড়ক মার, হাতজোড় করেও মেলেনি রেহাই

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় এই মহূর্তে দুয়ারে সরকার শিবির চলছে। সেকারণে ওই পঞ্চায়েত ভবনে ভিড় করেছিলেন স্থানীয়রা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ছাড়াও পঞ্চায়েত সদস্যরা হাজির ছিলেন সেখানে।

Asianet News Bangla | Published : Aug 26, 2021 3:48 PM IST / Updated: Aug 26 2021, 09:56 PM IST

প্রকাশ্যে এল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মুর্শিদাবাদে খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রধানকে পঞ্চায়েতের দফতরের মধ্যে মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতী ও বিধায়ক অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর এলাকায়। পঞ্চায়েত প্রধান সমরকুমার ষড়কে উদ্ধার করে  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামী বলে পাল্টা অভিযোগ উঠছে দলের একাংশের তরফে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় এই মুহূর্তে দুয়ারে সরকার শিবির চলছে। সেকারণে ওই পঞ্চায়েত ভবনে ভিড় করেছিলেন স্থানীয়রা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ছাড়াও পঞ্চায়েত সদস্যরা হাজির ছিলেন সেখানে। অভিযোগ, আচমকা কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য ও দুষ্কৃতী পঞ্চায়েতের মধ্যেই প্রধানকে মারধর করতে শুরু করেন। মারতে মারতে তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় ফেলেও তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রধান হাতজোড় করলেও রেহাই পাননি বলে জানা গিয়েছে। পরে মারের চোটে জ্ঞান হারান প্রধান। তারপরই ওই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। 

ঘটনার পর প্রধানকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে পঞ্চায়েতের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পঞ্চায়েত ছেড়ে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে হাজার পাতার চার্জশিট পেশ, নাম রয়েছে দেবাঞ্জন সহ ৮ জনের

এই ঘটনা প্রসঙ্গে সমরকুমার বলেন, "কয়েকদিন ধরে পঞ্চায়েতের কাজে আমি খুব ব্যস্ত রয়েছি। সেকারণে পঞ্চায়েতে ভিড় লেগে রয়েছে। পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্য ও কিছু দুষ্কৃতী আমার ঘরে ঢুকে ব্ল্যাঙ্ক শংসাপত্র দেওয়ার দাবি করেছিল। নিয়ম অনুযায়ী তা দেওয়া যাবে না বলায় ওরা আমার উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে।" স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধান দলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ। আর হামলাকারীরা বিধায়কের অনুগামী। 

আরও পড়ুন- দলীয় সদস্যদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত, 'ষড়যন্ত্র'-এর অভিযোগ রতুয়ার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কেটেছে জট, শক্তিশালী দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু এসসি ইস্টবেঙ্গলের

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, "উনি জনপ্রতিনিধি হয়ে সাধারণ মানুষের কোনও কাজ করছিলেন না। সার্টিফিকেট নিতে এসে বাসিন্দারা হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। সেকারণে ওঁকে মারধর করা হয়। প্রধানের চেয়ারে বসে সাধারণ মানুষের কাজ করাই উচিত। এর বেশি আমার কিছু বলার নেই।" এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Share this article
click me!