'মামা-ভাগ্নে তৃণমূলকে বিক্রি করতে চাইছে', আবারও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে ঘাসফুল শিবিরের

তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এল মালদায়। এবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খলল পঞ্চায়েতের এক নেতা। তিনি রীতিমত হুমকি দিয়েছেন দল ছাড়ারও। 
 

Web Desk - ANB | Published : Oct 29, 2022 12:55 PM IST

মালদার রতুয়ায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তঃকলহ। জেলার তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ও চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবি রতুয়ার তৃণমূল নেতা তথা রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী মোহাম্মদ হেশামুদ্দিনের। জয়হিন্দ বাহিনীর কর্মিসভা থেকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন হেসামুদ্দিন। তিনি বলেন, এই জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং চেয়ারম্যানকে যদি সরিয়ে  না দেওয়া হয়, বহিষ্কার না করা হয় তাহলে একমাস পরে আমরা ভাববো কি করব। মালদায় তৃণমূল কংগ্রেসকে মামা ভাগ্নে বিক্রি করে দিতে চাই। মালদায় যে পঞ্চায়েতগুলোতে অনাস্থা হয়েছে সেখানে যার বিরুদ্ধে অনাস্থা এবং যাকে গঠন করবে তার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে। এরা টাকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। এদেরকে যদি দল থেকে বহিষ্কার করা না হয় তাহলে মালদা জেলায় তৃণমূলের ফলাফল ভালো হতে পারে না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক ব্যানার্জি।

এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, কি কোথায় কি বলে বেড়াচ্ছে তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। কে কোথায় কি বলে বেড়াচ্ছে সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। দলটা নিজস্ব গতিতে চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রেজাল্ট প্রমাণ করে দিবে যে মানুষ মমতা ব্যানার্জির সাথে আছে।

উত্তর মালদার বিজেপি সাংগঠনের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত কোটাক্ষ করে বলেন তৃণমূলের দিন শেষ হয়ে এসেছে।এই দলে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল। সম্প্রতি মালদায় মাঝে মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব একের অপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে। দলীয় নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় দলনেত্রী যখন ঘর গোছানোর নির্দেশ দিচ্ছেন তখন মালদায় তৃণমূলের ফাটল ক্রমশই চওড়া হচ্ছে।  এই অবস্থায় দলের জেলা নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত তেমনভাবে কিছুই জানায়নি। এই জেলায় একটা সময় কংগ্রেসের গড় ছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনে রীতিমত তৃণমূল ভাল ফল করে। সেই ফলাফল আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে দলের অন্দরে। যদিও এই জেলায় এখনও তেমন জোরালোভাবে দানা বাঁধতে পারেনি বিজেপি, সিপিএম,। কংগ্রেসের আগের সেই জৌলুস হারিয়েছে। 

 

Share this article
click me!