আশিস মণ্ডল, বীরভূম: ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। ফের তৃণমূলকর্মী খুন হয়ে গেলেন বীরভূমে। এবার ঘটনাস্থল, লাভপুরের ভাটরা গ্রাম। যাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তিনি স্থানীয় ঠিবা পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামেও আমফান ত্রাণে 'দুর্নীতি', শোকজ করা হল ২০০ জন তৃণমূল
মৃত তৃণমূল নেতার নাম সহদেব বাগদি। বাড়ি ভাটরা গ্রামে। শনিবার সন্ধ্যার সময় কে বা কারার গ্রামের বাইরে চাষের জমির মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তৃণমূলের লাভপুর অবজারভার তথা বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর রানা সিংহ বলেন, “খুন হওয়া ব্যক্তি আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১৩ সালে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। বিজেপি এলাকায় তৃণমূলের শক্তি দুর্বল করতে চক্রান্ত করে খুন করেছে”। যদিও এই খুন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল বলে দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। তিনি বলেন, “গত রাতে খয়ারাশোলেও এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছে। সেখানেও তৃণমূল বিজেপি ভূত দেখছিল। কিন্তু মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও ভাই পুলিশের কাছে যে সাত জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে তারা সকলেই তৃণমূলের নেতা কর্মী। লাভপুরেও তাদের দলীয় কোন্দলে প্রাণ দিতে হল আরও এক কর্মীকে। তাছাড়া ওইন এলাকায় আমাদের এমন কোন কার্যকরতা নেই যারা খুন করতে পারে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দেখুক। আসল সত্য বাড়িয়ে আসবে”।
আরও পড়ুন: অর্জুন সিংয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদ, 'রাজ্য় জুড়ে চাক্কা জাম' করে দিল বিজেপি
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বীরভূমের খয়রাশোলে পিকনিক করার জন্য় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি শিশির বাউরি নামে এক তৃণমূলকর্মী। শনিবার ভোরে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকের দাবি, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কিশোর মণ্ডল শিশিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের খুন হয়ে গেলেন শাসকদলের আরও এক কর্মী।