সংক্ষিপ্ত

  • আমফানের ত্রাণ বিলিতে 'দুর্নীতি'
  • বাদ গেল না নন্দীগ্রামও
  • ২০০ জন নেতাকে শোকজ তৃণমূলের
  • ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং

  •  

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর: বাদ গেল না উত্থানের নন্দীগ্রাম! আমফানের ত্রাণ বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগে শোকজের মুখে পড়লেন নন্দীগ্রাম বিধানসভার এলাকার দু'শোজন নেতা। সকলেই স্বজনপোষণে অভিযুক্ত। শাসকদলের সাংসদ শিশির অধিকারীর হুঁশিয়ারি, দল ক্ষমতা দিলে কয়েকজন নেতাকে তিনি মুক্তি দিতে চান। শোকজ তারই প্রথম ধাপ। কোনওরকম অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না।

আরও পড়ুন: 'বিষাক্ত নাগিনী'র সঙ্গে তুলনা নির্মলা সীতারমনের, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে 'হতাশা' দেখছে বিজেপি

ঘুর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। আর তাতেই বিড়ম্বনা বেড়েছে শাসকদল তৃণমূলের।  কোথাও দুর্নীতি, কোথাও আবার স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। চলছে বিক্ষোভ-অবরোধ। দিন কয়েক আগে পথ-অবরোধকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা  নিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। এবার 'আমফান দুর্নীতি'র মানচিত্রে নাম উঠল নন্দীগ্রামেরও।

জানা গিয়েছে, আমফানের ক্ষতিপূরণ বিলিতে স্বজনপোষণের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সামসাবাদ, ভেকুটিয়া ও কেন্দামারি জলপাই পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান-সহ তৃণমূলের বহু নেতাকে। তাঁরা প্রত্যককেই পরিবারের একাধিক সদস্যকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা বঞ্চিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, জুনের মাসে শেষে যখন ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন, তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। স্রেফ শোকজ করাই নয়, অভিযুক্ত নেতা ও পঞ্চায়েত প্রধানদের টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে সকলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।

আরও পড়ুন: বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাল এলাকা, অর্জুন সিংয়ের গাড়ি ভাঙচুর

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের হাত ধরেই এ রাজ্যে তৃণমূলের উত্থান।  সেখানেই কিনা দলের কর্মীরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লেন! ঘটনায় বেজায় ক্ষুদ্ধ তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগে এর আগে হাওড়ায় শাসকদলের ৫ জন নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।