নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনি নিয়ে শুক্রবার থেকেই উত্তাল রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের জেরে নাজেহাল স্বাভাবিক রেল পরিষেবা। শুক্রবার দুপুর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন ট্রেন বাতিল হতে থাকে। কোথাও আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে ট্রেন। দুষ্কৃতিরা জ্বালিয়ে দেয় একাধিক ট্রেন। শুক্রবার রাতের দিকে ক্ষণিকের জন্য স্বাভাবিক হয়েছিল রেল পরিষেবা। এরপর কেটে গিয়েছে আরও দুটি দিন। কিন্তু সোমবারও রাজ্যের চিত্রের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটতে দেখা গেল না।
আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক, শক্ত হাতে অশান্তি দমনের নির্দেশ মমতার
একাধিক ট্রেন বাতিল হওয়ার ছবি ধরা দিল সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেও। এদিন সকাল থেকেই একের পর এক ট্রেন বাতিলের খবর প্রকাশ্যে উঠে আসে। উত্তাল বিভিন্ন এলাকার স্টেশন চত্বর। ফলে ট্রেন চলাচল ব্যহত। চরম বিপত্তির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সোমবার বাতিল হওয়া ট্রেনের তালিকাতে রয়েছে- ডিব্রুগড় হওড়া কামরূপ এক্সপ্রেস, দিল্লি ডিব্রুগড় মেল, জলপাইগুড়ি হাওড়া শতাব্দী একেসপ্রেস, হাওড়া চেন্নাই করমন্ডল এক্সপ্রেস, আলিপুর দুয়ার তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, শিয়ালহদ পদাতিক এক্সপ্রেস, কলকাতা রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া বালুরঘাট এক্সপ্রেস, কাটিহার হাওড়া এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, নবদ্বীপ ডাউন কলকাতা রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া মালদা টাউন ইন্টার সিটি এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। এছাড়াও ব্যহত লালগোলা, মুর্শিদাবাদের একাধিক ট্রেন।
আরও পড়ুনঃ প্রশাসনে মন দিন, অশান্তি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ ধনখড়ের
সোমবার সকাল থেকে ক্রমেই ভিড় বাড়তে থাকে স্টেশন এলাকাতে। ছুটি শেষে কাজে যোগ দেওয়ার দিন। ফলে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। তিনদিন ধরে মানুষের ভোগান্তির ছবিটা যেন ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা প্রতিনিয়ত শান্তি বজার রাখার বার্তা দিয়ে চলেছেন। স্বাভাবিক জীবন ব্যহত করে প্রতিবাদের অর্থ ভোগান্তি বাড়িয়ে তোলা। প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব নয়, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠুক, বার্তা এশিয়ানেট নিউজ বাংলার।