বসিরহাটে উত্তেজনা, অটো রুট উদ্বোধন করতে অটো চালকদেরই বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা

উত্তর চব্বিশ পরগণার হাসনাবাদে অটো রুট উদ্বোধন ঘিরে বেঁধে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। অটো চালকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ তৃণমূলের শ্রমিক নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি-এর সভাপতি কৌশিক দত্ত।

Jaydeep Das | Published : Dec 23, 2021 11:35 AM IST

অটো চালকের বিক্ষোভে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল উত্তর চব্বিশ পরগণায়। উত্তর চব্বিশ পরগণার হাসনাবাদে অটো রুট উদ্বোধন(Auto route to Hasnabad in North 24 Parganas) ঘিরে বেঁধে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। অটো চালকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ তৃণমূলের শ্রমিক নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট(Basirhat) সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি-এর সভাপতি কৌশিক দত্ত(Kaushik Dutt, President of INTTUC)। এদিন ওই নেতা একটি অটো রুটের উদ্বোধন করতে হাসনাবাদ ব্লকের মাখালগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাবাসপুর পালপাড়া এলাকায় যান বলে জানা যায়। সেখানে পৌঁছাতেই অটো চালকদের বড়সড় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। সূত্রের খবর, ওই গ্রামের একটা বড় অংশের মানুষ অটো চালকের কাজ করে। এদিকে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকেই নতুন রুট চালু দাবি করে আসছিলেন তারা। কিন্তু বারংবার সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছিলেন অনেকে।

এদিন তৃমমূলের শ্রমিক নেতা হাবাসপুর পালপাড়ায় যাওয়া মাত্রই তার গাড়ির উপরে চড়াও হয় গ্রামের অটো চালকরা। ভাঙচুর করা হয় তার গাড়ি। এমনকি তাঁকে ধাক্কা-ধাক্কিও করা হয় বলে খবর। চলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ। পাশাপাশি তার মোবাইলও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। তবে এদিন দুপুরে হঠাৎ করে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আক্রান্ত হওয়ায় গোষ্ঠী কোন্দলই প্রকাশ্যে আসছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকের দাবি দলের মধ্যেই কৌশিক দত্তর বিরোধী শিবিরের লোকজনই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতর।

আরও পড়ুন- কেন বন্ধ তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস! বড়দিনের মুখে রেল দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ ভ্রমণ পিপাসুদের

এদিকে সম্প্রতি ২৬টি নতুন অটো রুট চালু হয়েছে বসিরহাটে। যার ফলে বাসে যাত্রী হচ্ছে না বলে অভিযোগ বাস মালিকদের। হওয়ার ফলে বাসে যাত্রী হচ্ছে না। বাস মালিকদের লোকসান চরমে উঠেছে। এরই প্রতিবাদে সম্প্রতি বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা পাঁচটি রুটের প্রায় ৫২টি বাস পরিবহন ব্যবসায়ী প্রতীকি অবরোধ করেন। যার জেরে সুন্দরবন থেকে কলকাতা, হাড়োয়া থেকে বনগাঁ যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।

Share this article
click me!