সংক্ষিপ্ত
মুর্শিদাবাদের মানুষের কাছে তিস্তা-তোর্সা অত্যন্ত জনপ্রিয় ট্রেন। শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি দুপুর দুটোয় ছেড়ে আজিমগঞ্জ জংশনে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিটে। ফলে সারাদিনের কাজ শেষ করে অনায়াসে জেলার মানুষ ওই ট্রেনে ঘুমিয়ে পৌঁছাতে পারেন উত্তরবঙ্গে।
ঘন কুয়াশার কারন দেখিয়ে প্রায় এক মাস আগে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের। বড়দিনে ওই ট্রেন চালু হওয়ায় কোনও সম্ভবনা নেই তা জানতে পেরেই মুর্শিদাবাদ জেলার ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা একত্রিত হয়ে রেল কর্তৃপক্ষের(Indian Railways) বিরুদ্ধে গণ বিক্ষোভে বিক্ষোভে সামিল হন। এই পরিস্থিতিতে জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে। এই ব্যাপারে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশানের(Passenger Association) সাধারণ সম্পাদক অবনী প্রামানিক বলেন, “ সামান্য একটি অজুহাত দেখিয়ে রেল তিস্তা তোর্সা বন্ধ রেখে সাধারন যাত্রী তো বটেই জেলার মানুষের সঙ্গে বৈষম্য মূলক আচরন করছে। কারন প্রায় একই রেলপথ ব্যবহার করে নিয়মিত যাতায়াত করছে কামরূপ এক্সপ্রেস, তারবেলায় কুয়াশা কোনও সমস্যা করছে না"।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) মানুষের কাছে তিস্তা-তোর্সা(Tista-torsha Express) অত্যন্ত জনপ্রিয় ট্রেন। শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি দুপুর দুটোয় ছেড়ে আজিমগঞ্জ জংশনে(Azimganj Junction) পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিটে। ফলে সারাদিনের কাজ শেষ করে অনায়াসে জেলার মানুষ ওই ট্রেনে ঘুমিয়ে পৌঁছাতে পারেন উত্তরবঙ্গে(North bengal)।মূলত বছর শেষে অর্থাৎ পর্যটন মরশুমে ওই ট্রেনের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। ফলে জেলার মানুষ যেমন ওই ট্রেনে করে তরাই অঞ্চল কিংবা শৈল সুন্দরীর দেশ দার্জিলিং বেরিয়ে যেতে পারেন, তেমনই উত্তরবঙ্গ থেকেও এই মরশুমে তিস্তায় চেপে ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ ভ্রমণে আসেন বিপুল পরিমান পর্যটক। এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারাল ডেভলমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, “তিস্তা-তোর্সা বন্ধ থাকার কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে যে পরিমান পর্যটক মুর্শিদাবাদে আসতেন এবার সেই পরিমান পর্যটক আসা সম্ভব নয়। এ কথা আন্দাজ করেই জেলা প্রশাসন কে তিস্তা চালু করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম।”
আরও পড়ুন-দায়িত্ব নিয়েই নতুন উদ্যোমে ফিরহাদ, অতীন-মালাদের উপরেও ফের ভরসা মমতার
এদিকে জেলা থেকে যারা ট্রেনে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন তারাও তিস্তা-তোর্সা বাতিল হওয়ার কারণে বুকিং বাতিল করেছেন। জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ডাঃ রাজকুমার সাহা, ভগবানগোলার বাসিন্দা অনিন্দ সাইন সহ বহু যাত্রী একইপথে হেঁটেছেন একপ্রকার বাধ্য হয়েই। তাদের দাবি “আজিমগঞ্জ হয়ে কামরূপ ও তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চলাচল করে। যত সহজে তিস্তায় বুকিং পাওয়া যায় কামরূপ দূরপাল্লার ট্রেন হওয়ায় ওই বুকিং পাওয়া যায় না। তাই এবার উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ বাতিল করতে বাধ্য হলাম।” এদিকে ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে তিস্তা-তোর্সা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ফের কবে চালু হবে ওই ট্রেন তার উত্তর জানা নেই কারও।