সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কার নিয়ে এবার সরাসরি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র
কুনাল-শুভেন্দু(kunal Ghosh-suvhendu adhikari) তরজার মাঝেই এবার এবার মাঠে নামতে দেখা গেল তৃণমূল(tmc) নেতা মদন মিত্রকে(madan mitra)। শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ‘আস্ফালন’ নিয়ে করলেন চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ। যা নিয়ে ফের জোরদার চাপানৌতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। “কয়েকদিন বাদে শুভেন্দু অধিকারী(suvhendu adhikari) নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন তিনি ফেঁসে গিয়েছেন”। হাওড়া চামরাইল জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন এসে এভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করতে দেখা গেল মদন মিত্রকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিপির(BJP) রাজ্য দফতরে পুরভোটের বৈঠকে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজোশ নিয়ে শুভেন্দুর করা মন্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় বিজেপির হাওড়া জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে। প্রকাশ্যেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগও করেন তিনি। এরপরেই দলীয় নেতত্বের বিরাগভাজন হন তিনি। এমনকী ২৮ বছর ধরে সংঘ(RSS) ও দল করা সুরজিৎ সাহাকে সরাসরি বিজেপি থেকে বহিষ্কারও করা হয়। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই বৃহঃষ্পতিবার তোপ দাগেন মদন মিত্র।
আরও পড়ুন - চামড়া গুটিয়ে নেওয়ার হুমকি, বনগাঁর তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
যদিও মদনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফে কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে রাজ্য বিজেপি-র একাংশও এখন বলছে, প্রয়োজনে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননদের সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু শুভেন্দু সমালোচনা করলেই নামবে খাঁড়া। সুরজিতের বহিষ্কারে তা যেন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন - বর্ধমানে হাতির দলের তান্ডব, আক্রমণে জখম ১
এদিকে বিজেপির সাংগঠনিক অস্থিরতা নিয়ে গত কয়েকদিনেই একাধিকবার তোপ দেগেছেন ঘাসফুল শিবিরের একাধিক তাবড় তাবড় নেতা। এবার মদন মিত্রের মতো বড় মাপের নেতা প্রকাশ্যেই আক্রমণ করায় তা যে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তির কারণ হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও পদ্ম শিবিরের একাংশের নেতার মতে ঘোলা জলে মাছ ধরতেই এসব বলছে তৃণমল, তবে তাতে তাতের বিশেষ ক্ষতি হবে না। যদিও সুরজিৎ সাহা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠলেও তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়ে সরসরি বহিস্কার কেন করা হল সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে খোদ বিজেপির অন্দরে। আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এমতাবস্থায় মদনবানের পর শুভেন্দু তরজার জল কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।