নবাব নগরী মুর্শিদাবাদ পুরসভা জয়ের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডেই মহিলা প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অধীরের গড় (Adhir Ranjan Chowdhury) ধুলিস্যাৎ করতে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জুড়ে ৭টি পুরসভা (7 Municipal Corporation) দখলে তৃণমূলের হাতিয়ার প্রমিলা বাহিনী (Trinamool women force)। সেইমতো নারীশক্তিতে আস্থা রেখেই অধীরের দুর্গ ভাঙতে তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। শুরুতেই নবাব নগরী মুর্শিদাবাদ পুরসভা জয়ের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডেই মহিলা প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ৯ জনের মধ্যে আবার ৬ জনই নতুন মুখ।
মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, দল খুব চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিলিয়ে মহিলারা লড়াইয়ের ময়দানে থেকেছেন। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহিলারা অগ্রগণ্য ভূমিকা গ্রহণ করছেন। মহিলাদের আরও উৎসাহিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ পুরসভায় অর্ধেকের বেশি আসনে লড়াইয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। আশা করছি নারীশক্তিতে ভর করেই স্বচ্ছ পুরবোর্ড গঠন করব। মুর্শিদাবাদ পুরসভা নারীর ক্ষমতায়নের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।
গত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ পুরসভায় কংগ্রেস ১০টি আসনে জয়লাভ করে বোর্ড গঠন করে। ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একমাত্র মেহেদি আলম মির্জা জোড়াফুল প্রতীকে জয়লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের কাউন্সিলাররা তৃণমূলে যোগ দিলে ক্ষমতা শাসকদলের হাতে যায়। এবারে পুরসভা ভোটে ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১, ২, ৪, ৮, ১১ ও ১৬ এই ছয়টি ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। রাজ্য নেতৃত্বের প্রার্থী ঘোষণার পরেই দেখা যায় মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলি বাদেও ৩, ৫ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা প্রার্থীর নাম রয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, ৯ জন মহিলা প্রার্থীর মধ্যে ১, ৩ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী মহিলা কাউন্সিলারদের প্রার্থী করা হয়েছে।
২ নম্বরে মন্দিরা সরকার হালদার, ৪ নম্বরে সঙ্গীতা বর্ধন, ৫ নম্বরে সাথী দাস সরকার, ৮ নম্বরে সুস্মিতা দাস, ১১ নম্বরে রাখি পান্ডে এবং ১২ নম্বরে প্রতিমা দাস মণ্ডল নতুন মুখ। ইতিমধ্যে নমিনেশন জমার পর্ব শেষ করে মহিলা প্রার্থীরা নিজেদের ওয়ার্ডে জোরদার প্রচার শুরু করেছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা মুর্শিদাবাদ পুরসভার বিদায়ী প্রশাসক ললিতা নন্দী দাস বলেন, ৬ জন মহিলা প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে নতুন মুখ হলেও দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা জড়িত রয়েছেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প এবং পরিষেবার পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরের পুরসভার উন্নয়নকে তুলে ধরে প্রচার চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে আগামী পাঁচ বছরে নাগরিক জীবনের উন্নয়নে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে সেই বিষয়গুলি তুলে ধরা হচ্ছে।
লালবাগ শহর কংগ্রেস সভাপতি অর্ণব রায় বলেন, ২০১৫ নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে তৃণমূলে যাওয়া বিদায়ী কাউন্সিলারদের মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মুখ নেই। তাই নতুন মুখ আনতে হয়েছে। বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, কোনও কিছু করেই লাভ হবে না। মুর্শিদাবাদ পুরসভা আমরা দখল করব।