পণের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বাকে খুন। এক সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ কে শ্বাস রোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বছর ১৯ এর ওই মৃতা নাম প্রিয়াঙ্কা মন্ডল । সোমবার মুর্শিদাবাদের আমডহরা গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন, 'এটা অভিষেক-মুরলীধরের ষড়যন্ত্র' পামেলাকাণ্ডে আদালতের পথে বিস্ফোরক রাকেশ সিং
পুলিশ মৃতের উদ্ধার করে ময়ানাতদন্তের জন্য লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে । এদিকে ঘটনার পরই মৃতের স্বামী সহ তার শ্বশুরবাড়ির ২ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে , বছরখানেক আগে আমডহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা রিপন দাস প্রেম করে বিয়ে করেন স্থানীয় সুন্দরপুরের প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল কে ।বিয়ের সময় নগদ দু লক্ষ টাকা , বাইক , পাঁচ ভরি সোনার গয়না ও আসবাব পত্র বর পণ হিসেবে নেন। পেশায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় কর্মরত রিপন । ইতিমধ্যে ওই গৃহবধূ সাত মাসে অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, এরই মাঝে রিপনের বাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকা পন হিসেবে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন, কয়লাকাণ্ডে কলকাতার ৮ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ED-র হানা, ওদিকে সুপ্রিম কোর্টে লালার শুনানিও আজই
ওই টাকা প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ির লোকজন দিতে অসমর্থ হওয়ায় মাঝে মধ্যেই শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছিল অন্তঃসত্ত্বাকে। শুক্রবার মাকে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান প্রিয়াঙ্কা ।হঠাৎ করে এদিন গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রিয়াঙ্কা। অথচ মৃতের দুই গালে কালশিটে , শরীরে অসংখ্য সিগারে্টের ছ্যাকা দেওয়া দাগ লক্ষ করে স্থানীয়রা । এই ব্যাপারে মৃতের বাবা শ্রীকান্ত মণ্ডল জামাই রিপন দাস , জামাইয়ের বাবা সুভাষ দাস , মা ছবি দাস সহ মোট পাঁচ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলেন ,' আমি বাড়তি পন দিতে না পারায় ওরা মেয়ের শ্বাস রোধ করে প্রাণে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।'