চিকিৎসক সন্তানদের নিয়ে 'গর্বিত', দুঃশ্চিন্তাও বাড়ছে রায়গঞ্জের দম্পতির

  • দুই সন্তান বরাবরই মেধাবী ছাত্র
  • তাঁদের নিয়ে বাবা-মাও গর্বিত
  • এখন দুঃশ্চিন্তাও যে পিছু ছাড়ছে না!
  • মহা বিড়ম্বনায় পড়েছেন রায়গঞ্জের দম্পতি

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 21, 2020 10:18 AM IST / Updated: Apr 21 2020, 03:50 PM IST

দুই সন্তান বরাবরই মেধাবী ছাত্র। তাঁদের নিয়ে বাবা-মাও গর্বিত। কিন্তু এখন দুঃশ্চিন্তাও যে পিছু ছাড়ছে না! করোনা আতঙ্কে মাঝেই মহা বিড়ম্বনায় পড়েছেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের এক দম্পতি।

আরও পড়ুন: রেশন কার্ড বন্ধক রাখা কালিন্দীদের গ্রামে জেলাশাসক, পেনশন থেকে শুরু করে ঘর তৈরির আশ্বাস

রায়গঞ্জ রেলস্টেশন লাগোয়া সরকারি আবাসনের দুই কামরায় ফ্ল্যাটে থাকেন মধুসূদন সিনহা। চাকরি করেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদে। স্ত্রী কৃষ্ণা সাধারণ ছাপোষা গৃহবধূ। ওই দম্পতির দুই ছেলে। তাঁরা দু'জনেই পেশায় চিকিৎসক। বড় ছেলে পল্লব কর্মরত কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে, আর ছোট ছেলে অর্ণব ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে এখন অবশ্য দুই ভাইয়েরই কর্মস্থল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সহকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনা আক্রান্তের সুস্থ করে তোলার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ভিড়ে ঠাসা রাস্তা আজ শুনশান প্রান্তর, হাওড়ায় রেডস্টার জোনে বন্ধ বহু ব্যাঙ্ক

আরও পড়ুন: পিপিই ডাস্টবিনে 'ফেলে দিলেন' চিকিৎসকরা, বিতর্ক তুঙ্গে বীরভূমে

লকডাউনে যখন বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সকলে, তখন ঘরে বসে থাকার উপায় নেই তাঁদের। কবে যে রায়গঞ্জে ফিরতে পারেন, তার কোনও ঠিক নেই। তাতে অবশ্য আফশোস নেই, বরং এই কঠিন পরিস্থিতিতে দুই চিকিৎসক সন্তানকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন মধুসূদন সিনহা ও তাঁর স্ত্রী। তাঁরা জানালেন, 'মানুষের সেবা করার জন্যই তো ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলাম। এই চরম বিপদের সময়ে ছেলেরা যে করোনা রোগীকে চিকিৎসা করছে, তাতে অবশ্যই গর্ববোধ করি।' শহরের দুই কৃতী সন্তানকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসও। তিনি বলেন, 'করোনা বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হয়ে ওই পরিবার ও তাঁদের সন্তানরা রায়গঞ্জবাসীকে গর্বিত করেছেন। আমাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।'

এদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ও আক্রান্ত সুস্থ করতে যাঁরা লড়াই চালাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংক্রমিত হয়েছেন খোদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সাতজন চিকিৎসকও। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হাসপাতালের ইন্টার্নরাও। ছেলেদের জন্য দুঃশ্চিন্তা হয় না? মধূসুদন সিনহা জানালেন, 'চিন্তা তো হয়ই। যাঁদের ওরা সেবা করছে, তাঁদের শুভকামনাই ওদের সুরক্ষিত রাখবে।' সরকারের কাছে চিকিৎসকদের উপযুক্ত পোশাক দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা। তাঁর কথায়, 'যখন ছেলেদের জন্য খুব চিন্তা হয়, তখন পুরনো অ্যালবাম খুলে বসি।'

 

Share this article
click me!