রেললাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কা, শিলিগুড়িতে বেঘোরে মৃত্যু দুটি হাতির

  • উত্তরবঙ্গে ফের ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু
  • এবার দুর্ঘটনা ঘটল শিলিগুড়ি লাগোয়া খড়িবাড়িতে
  • দুটি হাতিকে ধাক্কা মারল শিলিগুড়ি-কাটিহার ডিএমইউ ট্রেন
  • ঘটনাস্থলে মারা গেল দুটি হাতিই

Tanumoy Ghoshal | Published : Dec 11, 2019 1:24 PM IST / Updated: Dec 11 2019, 06:57 PM IST

ফের ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গে। বুধবার ভোরে দুর্ঘটনা ঘটল শিলিগুড়ি লাগোয়া খড়িবাড়ি ব্লকের অধিকারী এলাকায়। ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছে একটি গর্ভবতী হাতি ও একটি পাঁচ বছরের হাতি। রেলের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর। উত্তরবঙ্গে বারবার ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা।

পাহাড়ে-জঙ্গলে ঘেরা উত্তরবঙ্গে হাতির সংখ্যা কম নয়। বহু জায়গায় আবার জঙ্গলের বুক চিরে চলে গিয়েছে রেললাইন। জঙ্গলপথে রেললাইন লাগোয়া বেশ কয়েকটি এলাকাকে হাতির করিডর হিসেবে চিহ্নিতও করে দিয়েছে বনদপ্তর। নিয়ম অনুযায়ী, হাতির করিডরে ধীরগতিতে ট্রেন চলার কথা। কিন্তু বাস্তবে আর তেমনটা হচ্ছে কই! বরং উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে দ্রুতগামী ট্রেনের ধাক্কায় বেঘোর প্রাণ যাচ্ছে হাতিদের।  বুধবার ভোরে ফের ঘটল দুর্ঘটনা। এবার শিলিগুড়ি লাগোয়া খড়িবাড়ি ব্লকে। 

ঘড়িতে তখন ভোর পাঁচটা। শিলিগুড়ি থেকে কাটিহারের দিকে যাচ্ছিল ডিএমইউ ট্রেন। খড়িবাড়ি ব্লকের  অধিকারী এলাকায় রেললাইন পেরনোর সময়ে একটি হস্তিশাবক ও মা-হাতিকে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রেনটি। এতটাই জোরে ধাক্কা লাগে যে, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দুরে ছিটকে হাতি দুটি এবং মারা যায়। বড় হাতিটি আবার গর্ভবতী ছিল বলে জানা গিয়েছে।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনদপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা। ময়নাতদন্তের পর ঘটনাস্থলের কাছে হাতিটি দুটি শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ফুল দিয়ে নিহত হাতি দুটিকে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।  জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে শিলিগুড়ি খড়িবাড়ি ব্লকের শিমূলতলা এলাকার সতীশচন্দ্র চা বাগানে খাবার সন্ধানে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকটি হাতি।  বনকর্মীদের অনুমান, তাদের মধ্যে দুটি হাতিই সম্ভবত বুধবার ভোরে চলে আসে রেললাইনের ধারে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।

আরও পড়ুন: দুটি হাত নেই, পা দিয়েই লিখে ক্লাস নেন এই শিক্ষক

এদিকে ট্রেনে ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা রেলের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন দার্জিলিং রেঞ্জের মুখ্য বনপাল(বন্যপ্রাণ) দেবাংশু মল্লিক। তাঁর বক্তব্য, 'যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকাটি হাতির করিডর। তা জানা সত্ত্বেও ট্রেনের গতি কমাচ্ছে না রেল। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।  আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কথা জানিয়েছেন কার্শিয়ং ডিভিশনের বন আধিকারিক বিপিন কুমার সুদ।      


 

Share this article
click me!