গত এক সপ্তাহ ধরে ঝাড়গ্রাম জেলা লালগড় থানার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলের পাশে বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। শুক্রবার ফের মিলল অজানা জন্তুর (Unknown animal) পায়ের ছাপ। বৃহস্পতিবারই কন্যাবলির জঙ্গল থেকে একটি ছাগলের ক্ষত বিক্ষত দেহ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে বেশ আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।
ফের আতঙ্ক ছড়াল লালগড়ে। অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ (Foot Print) ঘিরে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে দেখা দিল বাঘের আতঙ্ক। গত এক সপ্তাহ ধরে ঝাড়গ্রাম জেলা লালগড় থানার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলের পাশে বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। গ্রামবাসীরা বনদপ্তরে খবর দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তারপর থেকেই কয়েকদিন ধরেই খোঁজখবর চলছে।
এদিকে শুক্রবার ফের মিলল অজানা জন্তুর (Unknown animal)পায়ের ছাপ। লালগড় সংলগ্ন লক্ষণপুর, কুমিরকাটা, কন্যাবলির পর এবার গঙ্গাদাসপুরের জঙ্গলের একটি জলাশয়ের ধারে পাওয়া গেল অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ (Foot Print)। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবারই কন্যাবলির জঙ্গল থেকে একটি ছাগলের ক্ষত বিক্ষত দেহ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে বেশ আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। জোড় কদমে কাজ শুরু করেছে বনদপ্তরের কর্মীরা। এলাকার যে যে জায়গায় পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে, সব কয়টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। জন্তুটিকে ধরার জন্য জাল, খাঁচা-সহ অন্যান্য জিনিস মজুত করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, ‘আগেও বাঘের অস্তিত্ব এই ভাবেই দেখা গিয়েছিল। এবারও একইভাবে বাঘ বলেই মনে হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জঙ্গলে ছাগল, গরু ছাড়তে ভয় পাচ্ছে। সকলেই আতঙ্কিত।’
বনদফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও সন্দীপ বেড়াওয়াল বলেন, ‘যে সমস্ত পায়ের ছাপ ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে সেগুলো পরীক্ষা করে বাঘ বলে মনে হচ্ছে না। নেকড়ে জাতীয় প্রাণীর পায়ের ছাপ বলে প্রাথমিক ধারণা। তাও বনকর্মীরা সর্বত্র সতর্ক হয়ে নজরদারি জারি রেখেছে। আরও অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে বাঘের মতো ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
এদিকে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রয়্যাল বেঙ্গল বাঘের আগমনের স্মৃতি এখনও চাঙ্গা গ্রামবাসীর মনে। তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে লালগড়ে বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফের জন্তুর (Animal) পায়ের ছাপ (Foot Print) দেখে বেশ আতঙ্কিত সকলেই।
আরও পড়ুন: আবারও দুর্ঘটনার কবলে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, শিলিগুড়ির কাছে লাইনচ্যুত ইঞ্জিন
চলতি সপ্তাহে, মঙ্গলবার লালগড় রেঞ্জের কুমিরপাতার জঙ্গলে বনসুরক্ষা কমিটির লোকজন পায়ের ছাপগুলো দেখতে পেয়ে লালগড় রেঞ্জ অফিসে খবর দেয়। তারপর বুধবার বিকেলে ফের জঙ্গলের রাস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ওই পায়ের ছাপ। আবার শুক্রবার পায়ের ছাপের সঙ্গে ছাগলের ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক করার কাজ শুরু করেছেন বনদফতরের কর্মীরা। মাইকিং-এর মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে। সঙ্গে জন্তুটিকে ধরতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।