আরএসএস-এর দর্শন স্থাপনে পশ্চিমবঙ্গকে দিয়ে দিয়েছিলেন জীবনটা, প্রয়াত কেশব রাও দিক্ষীত

বাংলায় আরএসএস-এর ভিত্তি স্থাপনের স্তম্ভও স্বরূপ ছিলেন কেশব রাও দীক্ষিত। পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর কাজ শুরুর একেবারে প্রথমদিকের সৈনিক ছিলেন তিনি। সদ্য মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় এসে পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর ধারণা স্থাপনের কাজে ব্রতী হয়েছিলেন তিনি। আজীবন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের হয়ে কাজ করে গিয়েছেন কেশব রাও। মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। 

ভারতের ইতিহাসে একটি যুগের অবসান। প্রয়াত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বলিষ্ট সংগঠক কেশব রাও দীক্ষিত। পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর ধারণা স্থাপনে অগ্রণি ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। বাংলায় আরএসএস-এর ভিত্তি স্থাপনের স্তম্ভও স্বরূপ ছিলেন কেশব রাও দীক্ষিত। পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর কাজ শুরুর একেবারে প্রথমদিকের সৈনিক ছিলেন তিনি। সদ্য মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় এসে পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর ধারণা স্থাপনের কাজে ব্রতী হয়েছিলেন তিনি। আজীবন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের হয়ে কাজ করে গিয়েছেন কেশব রাও। মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। 

কেশব রাও দীক্ষিতের প্রয়াণে শোকের ছায়া গেরুয়া শিবির তথা জাতীয় রাজনীতিতে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করে লিখেছেন,"একটি যুগের অবসান হলো। মহারাষ্ট্র থেকে আসা এক তরতাজা যুবক,পশ্চিমবঙ্গে এসে সমাজসংস্কারের জন্য নিজের জীবনটাই দিয়ে দিলেন,পরিবারের ছাড়া বাকি সমাজের কাছে সেটা অজ্ঞাতই রয়ে গেলো।শ্রদ্ধেয় কেশব রাও দীক্ষিত মহাশয় সারাজীবন আমাদের কাছে অমর হয়ে থাকবেন।ভগবানের কাছে,ওনার আত্মার সদগতি কামনা করি। ওম শান্তি।"

Latest Videos

কেশব রাও-এর মৃত্যুতে শোকাহত বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিজের ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, "বাংলায় সঙ্ঘকাজের ভগীরথ ১৯৫০ সাল থেকে নিরন্তর সঙ্ঘ কার্যের বিস্তারের পুরোধা  এবং হাজার হাজার যুবককে রাষ্ট্রসেবায় উদ্বুদ্ধ করেছেন সেই প্রেরণাপুরুষ কেশবরাও দীক্ষিত আজ ইহলোক ত্যাগ করেছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। ওম শান্তি।" 

আরও পড়ুন - '৮০ শতাংশ মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছে', চপ-ঘুঘনি ইস্যু তুলে শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি 

শোকবার্তা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন,"রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বর্ষীয়ান রাষ্ট্রবাদী প্রচারক মাননীয় শ্রী কেশব রাও দীক্ষিত জী সংঘের কাজের শুরুর সময় থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করে অসংখ্য দেশবাসীর হৃদয়ে অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেছেন। পশ্চিমবঙ্গকে আপন করে সংঘের প্রচারে অগ্রদূত হয়ে কাজ করেছেন প্রবাদ প্রতিম রাষ্ট্রবাদী এই মহাপুরুষ।  আমাদের হৃদয়ে সর্বদা অমর হয়ে থাকবেন আমাদের প্রিয় কেশব জী। আমি ওনার বিদেহী আত্মার প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করি। ওম শান্তি।"

আরও পড়ুন - ভোল বদলেও লাভ হল না, দু'দিনের মধ্যে গ্রেফতার পুলিশকে মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই বিজেপি কর্মী

কীভাবে বাংলায় জন্ম নিয়েছিল আরএসএস? 

সময় ১৯৩৯ সালের ২২ মার্চ। হিন্দু নববর্ষের দিন বাংলায় যাত্রা শুরু করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস। যদিও বাংলায় আলাদা করে হিন্দু নববর্ষ পালনের কোনও চল ছিল না। বাঙালিদের কাছে পয়লা বৈশাখেই শুরু হত নববর্ষ। সেই বছর মহারাষ্ট্র বাংলায় আসেন মাধব সদাশিব গোলওয়ালকর এবং বিঠল রাও পাটকি। উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের বুকে আরএসএস-এর ভিত্তি স্থাপন। ১৯৩৯ সালের ২২ মার্চ উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকায় তেলকোল মঠে স্থাপিত হল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রথম শাখা। সেই থেকেই বাংলায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল আরএসএস। এরপর নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা এই সংগঠন ২০২০ সালে রাজ্যে ১,৬০০ টি শাখায় কাজ শুরু করেছিল। নাগপুর থেকে বিভিন্ন সময় সংগঠকরা বাংলায় এলেও পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর ভিত্তি তৈরির পেছনে মূল অবদান ছিল জয়দেব ঘোষ এবং কালিদাস বসুর সংগঠকদের।   

আরও পড়ুন - চব্বিশের প্রস্তুতি? দুর্গাপুজোর পরেই বাংলায় পা রাখছেন অমিত শাহ

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড (Kolkata Fire) কলকাতায়, পুড়ে ছাই গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন ৬টি দোকান
চলন্ত বাসে দুঃসাহসিক ছিন্তাই! চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা এলাকায় | South 24 Parganas News Today
'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
বিয়ে করার জন্য পাত্রী তুলতে এসে শ্রীঘরে পাত্র, হুলুস্থুলু কাণ্ড কুলতলিতে | Kultali News
'উপনির্বাচনে জিতে আরও অত্যাচার বাড়াবে TMC' উদ্বেগ প্রকাশ Adhir Ranjan Chowdhury-র