সরকারি নিয়ম মেনেই কাজকর্ম চলছিল বিভিন্ন দপ্তরে। আচমকাই ছন্দপতন, করোনা আতঙ্কে এবার বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অফিস। বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও পেনশনভোগীরা।
আরও পড়ুন: সমুদ্রে ভেসে এল বিশালাকার তিমি মাছ, শোরগোল মন্দারমণিতে
জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তি। রবিবার জ্বর গায়েই অফিসে আসেন তিনি। করোনা আক্রান্ত নন তো? ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ওই ব্যক্তির লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার করোনা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যতদিন না পর্যন্ত রিপোর্ট আসছে, ততদিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কেন্দ্রীয় অফিস। সোমবার সকালেও অফিস খোলেনি। সংক্রমণ ঠেকাতে অফিস ও লাগোয়া এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়। এদিকে বিশ্বভারতীর কর্মীরা এখনও বেতন পাননি। মঙ্গলবার আবার অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দেওয়ারও কথা ছিল। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সকলেই। কেন্দ্রীয় অফিসের কাজকর্ম আপাতত অন্য় ভবন থেকে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস
এরইমধ্যে বিশ্বভারতীর কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপকদের সংগঠন ভিবিউফা। তাদের অভিযোগ, লকডাউনের সময়ে সরকারি নিয়মে মানা হয়নি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, বিশ্ববিদ্যলয়ের তরফে হস্টেল, অফিস-সহ ক্য়াম্পাস লাগোয়া এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জল, বিদ্যুৎ-সহ অন্যন্য পরিষেবা দেওয়া হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না রাখলে, সমস্যা পড়তেন সাধারণ মানুষও।