এবার করোনার বিধিনিষেধ চালু হল অযোধ্যাতেও। করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এবার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত।
করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক এবার পুরুলিয়ায়। অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে গেলে এই রিপোর্ট দেখাতে হবে পর্যটকদের। তবেই প্রবেশের অনুমতি মিলবে।
আরও পড়ুন- সকালে পথ দুর্ঘটনা বর্ধমানে, ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মেরে দুমড়ে গেল বাস
রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউের দাপট একটু কমার পরই খুলে দেওয়া হচ্ছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। আর সেখানে যেতে গেলে পর্যটকদের করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। তার সঙ্গে থাকতে হবে করোনা টিকার দুটি ডোজের শংসাপত্র। কয়েকদিন আগে এই নিয়ম চালু হয়েছে দিঘায়। কাঁথি মহকুমা প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এবার থেকে দিঘায় আসতে গেলে পর্যটকদের সঙ্গে রাখতে হবে করোনা টিকার শংসাপত্র। রাখতে হবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও। এছাড়া হোটেলে রুম ভাড়া নিতে গেলেও এই রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। তবেই রুম পাওয়া যাবে। না হলে কোনও রুম পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন- অগাস্ট মাস থেকেই শিশুদের টিকা, কোভিড ১৯-র শৃঙ্খল ভাঙতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের
এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা-র বকখালিতেও শুরু হয়েছে সরকারি বিধিনিষেধ। বকখালি সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যেতে হলে লাগছে করোনা টিকার দুটি ডোজ। তবে রিপোর্ট খুব বেশি পুরোনো হলে হবে না। ৪৮ ঘণ্টা আগে করানো করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। নামখানায় প্রবেশের মুখেই এই চেকিং করা হচ্ছে। টিকা ও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পরই পর্যটকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- পেট্রোলের দাম আকাশ ছোঁয়া, পৌষ মাস সাইকেল বিক্রেতাদের
আর এবার করোনার বিধিনিষেধ চালু হল অযোধ্যাতেও। করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এবার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। পর্যটকদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হল আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট। দু'দিনের বেশি পুরোনো হলে চলবে না। তবে দুটি টিকা নেওয়া থাকলে ছাড় পাবেন পর্যটকরা। সেক্ষেত্রে দুটি টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দেখাতে হবে পর্যটকদের। তবেই হোটেলে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। বাঘমুন্ডির সব হোটেল ও রিসর্ট মালিকদের নিয়ে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঘমুন্ডির বিডিও দেবরাজ ঘোষ।
এবিষয়ে লজ ইউনিয়নের সহ সম্পাদক সুজিত কুমার বলেন, "কোভিড নিয়ে আমরা সচেতন। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে এমনিতেই ব্যবসা মন্দা। এই অবস্থায় এতটা কড়াকড়ি হলে পর্যটকরা আর পাহাড়ে আসবেন না। এক্ষেত্রে দুটির বদলে একটি টিকা নেওয়া পর্যটকদের পাহাড়ে আসার দাবি জানাই।" অন্যদিকে হোটেল কর্ণধার শিকারী মাঝী ও প্রার্থসারথি সাহা বলেন, "শিশুদের এখনও টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। এক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে। তাই বিষয়গুলি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাই।"