ফের প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচার রাজ্যে। এবার জলপাইগুড়ি জেলা থেকে ভিনরাজ্যে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচারকারীদের পর্দা ফাঁস করল পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর।
ফের প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচার রাজ্যে। এবার জলপাইগুড়ি জেলা থেকে ভিনরাজ্যে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ( Pangolin fiber in Jalpaiguri ) পাচারকারীদের পর্দা ফাঁস করল পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর (WB Forest Department)। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। কীভাবে দিনের পর দিন নিষিদ্ধ প্যাঙ্গোলিনের আঁশ নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে পাচারকারীরা। কারণ একুশ সালেও এরাজ্যে প্যাঙ্গোলিনের নখ এবং আঁশ পাচার ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল শহরে।
বৃহস্পতিবার ৪৭ কেজি ওজনের প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার করেছে বনদপ্তর। এনজেপি এলাকা থেকে প্যাঙ্গোলিনের ওই বিপুল পরিমাণ আঁশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জন হরিয়ানা এবং ১ জন পঞ্জাবের বাসিন্দাকে। বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ এই অভিযান করা হয়। নিউ জলপাইগুড়ির জলপাইমোড়ের শীলতলা পাড়া এলাকাতেই পাচারকারীদের পর্দা ফাঁস করে বনদফতর। পাঁচারকারীদের থেকে মোট ৪ টি ব্যাগ থেকেই ওই ৪৭ কেজি ওজনের প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার করা হয়েছে। বনদফতর সূত্রে খবর, ধৃত বাগ চন্দর এবং ধরমবীর ধাবী হরিয়ানার পঞ্চকুলা জেলার নয়নগড় থানা এলাকার বাসিন্দা। দুই পাচারকারীর বয়স যাথাক্রমে ৫৯ বছর এবং ৩৫ বছর। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন পঞ্জাবের বাসিন্দাও। দলবীর নামের ওই পঞ্জাবের বাসিন্দার নাম ৫৫ বছর।
বনবিভাগের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, এদিন গোপনসূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানোর পর ওই পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরা হয়। প্রথমে তাঁদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এদিকে ওই ব্যাগ নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই ধৃতরা ধরা পড়ে যায়। বেরিয়ে পড়ে ৪৭ কেজি ওজনের প্যাঙ্গোলিনের আঁশ। যার কোনও উপযুক্ত কাগজও দেখাতে পারেনি ওই তিন ব্যক্তি। এরপরেই তাঁদেরকে আটক করে নেওয়া হয়। এদিন বন্যপ্রাণী আইনের ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, একুশ সালের ডিসেম্বরেও জলপাইগুড়িতে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচার পর্দা ফাঁস করে লাটাগুড়ি বনবিভাগ। সেবার উদ্ধার হওয়া আঁশের বর্তমান মূল ছিল ১০ লক্ষ টাকা। ওই ঘটনায় সেবার দুই জনকে আটক করা হয়। ক্রেতা সেজে রীতিমতো ফাঁদ পেতে ওই পাচারকারীদের পাকড়াও করে বন দফতর। উল্লেখ্য, সারা দেশেই প্যাঙ্গোলিনের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। এদিকে এই বিলপ্তপ্রায় প্রাণীদের এভাবে পাচারের লোভে হত্যা করা হচ্ছে। তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে উদাহরণ দিয়ে গেল এদিনের এই ঘটনা। তবে এই মূর্তে প্যাঙ্গোলিনের পাচার রুখতে আরও সতর্ক প্রশাসন।