সংক্ষিপ্ত

ফের হাতির আতঙ্কে তটস্ত বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, রাস্তা হারিয়ে এবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে দশটি হাতির একটি দল।  

ফের হাতির আতঙ্কে তটস্ত বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, রাস্তা হারিয়ে এবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে দশটি হাতির একটি দল। এদিকে সপ্তাহ খানেক আগেই তিনটি শাবক সহ এই হাতির দলটি পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে সারেঙ্গার জঙ্গলে। এরপর থেকেই রাস্তা হারিয়ে কার্যত দিশেহারা ওই হাতির দল। সিমলাপাল, রতনপুর পেরিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া জেলার ছাতনায় হাজির হয়েছে দাঁতালের দল (Elephant)। তবে  সবদিক থেকে সতর্ক বনদফতর (Forest Department)। 

জানা গিয়েছে, দিন দশ আগে খাবারের খোঁজে  সারেঙ্গায় প্রবেশ করেছিল হাতির দলটি। বাঁকুড়া জেলায় প্রবেশের পর থেকেই হাতির দলটি ক্রমশ উত্তরমুখী হয়ে পড়ে। এরপর থেকে লাগাতার ভাবে হাতির দলটিকে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঠানোর চেষ্টা চালায় বন দফতর। হুলা পার্টির লাগাতার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে হাতির দলটি। তারপর সিমলাপাল,  ইন্দপুর হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় পৌঁছে যায় বাঁকুড়া শহরের উপকন্ঠে। শহরে যাতে হাতির দল না ঢুকে পড়ে, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালায় বন দফতর। পরে হাতির দলটি হুলা পার্টির তাড়া খেয়ে ছাতনার দিকে অগ্রসর হয়। বৃহস্পতিবার সকালেই ছাতনা লাগোয়া এলাকায় পৌঁছে যায় হাতির দলটি। এদিকে সাতসকালেই জনবহুল ছাতনা এলাকার অদূরে হাতির দল পৌঁছে যাওয়ায় এলাকায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বন দফতর জানিয়েছে, হাতির হাত থেকে জীবন ও ফসলহানী এড়াতে সবদিক থেকে তৈরী আছে বনদফতর। 

আরও পড়ুন, Murshidabad Explosion: কারখানায় বোমা ফেঁটে মৃত ১, 'খুন' ঢাকতেই কি বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদে

প্রসঙ্গত, বর্ষশেষ এবং বর্ষশুরুর  একাধিক জেলায় দাঁতালের ভয়ে ঘুম উড়েছে রাজ্যবাসীর। একুশের নভেম্বরে রীতিমত তটস্থ ছিল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম। সেসময় গলসিতে ব্যপক তাণ্ডব চালায় ৩৫ থেকে ৪০ হাতির দল। বিঘার পর বিঘা ধানের ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে। তাণ্ডবের পর শেষে বাঁকুড়ার জঙ্গলমুখী করতে সক্ষম হন বন দফতরের কর্মীরা। এরপর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই দাঁতালের তাণ্ডব শুরু হয় জলপাইগুড়িতে। পরিস্থিতি এমনই দিকে যায়, যে ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।এরপর  একুশের ডিসেম্বরে ৬ নং জাতীয় সড়কে দাঁতালের দাপাদাপির চোটে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। শীতের রাতে বুক কেঁপে ওঠে চালকদের। চাঞ্চল্য ছড়ায় ঝাড়গ্রামের একাংশে। এদিকে নিউইয়ারে বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া পেরিয়ে দাঁতালের দেখা মেলে পুরুলিয়ায়। সতর্ক হয় বাগমুন্ডি বন দফতর। এদিকে কোভিড কমতেই তখন অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় পিকনিকে মেতেছে রাজ্যবাসী। তখন দাঁতালের খবর পেতই ঘুম উড়েছে বন দফতরের। রাতারাতি মাইকিং করা হয় বন দফতরের তরফে। এদিকে এবার মাস পেরোনোর আগেই ফের দাঁতাল আতঙ্কে তটস্ত জেলার বাসিন্দারা।