গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নির্দল কাঁটা, সব উড়িয়ে কোচবিহারে দাপট তৃণমূল কংগ্রেসের

জেলার ৬টি পুরসভাতেই প্রথম স্থান পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। হলদিবাড়িতে ১১তে ১১টি আসন দখল করেছে ঘাসফুল। মাথাভাঙার ১২টি ওয়ার্ডের দখল নিয়েছে তৃণমূল। মেখলিগঞ্জের ৯টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল।

Web Desk - ANB | Published : Mar 2, 2022 7:46 AM IST

কোচবিহার জেলা (Cooch Behar Municipal election 2022)। উত্তরের জেলায় কিছুটা হলেও বুক বেঁধে লড়াই করেছিল বিজেপি (BJP)। ভরসা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীশিথ প্রামানিক। জেলার ছেলেই মন্ত্রী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হল না। এই জেলা খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। অধিকাংশ পুরসভাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) একচ্ছত্র  আধিপত্য বিস্তার করেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা(LF)। 

জেলার ৬টি পুরসভাতেই প্রথম স্থান পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। হলদিবাড়িতে ১১তে ১১টি আসন দখল করেছে ঘাসফুল। মাথাভাঙার ১২টি ওয়ার্ডের দখল নিয়েছে তৃণমূল। মেখলিগঞ্জের ৯টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তুফানগঞ্জের ১২টির সবকটি ওয়ার্ডেই একচ্ছত্র রাজ করেছে ঘাসফুল। একমাত্র কোচবিহার পুরসভায় দুটি আসন পেয়েছে বামেরা। ২০র মধ্যে ১৫টিতেই তৃণমূল জয়ী হয়েছে। অন্যান্য দলের দখলে রয়েছে ৩টি আসন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের খাসতালুক দিনহাটেও খুলতে পারেনি বিজেপি। এই পুরসভার ১৬টিতেই জয়ের ধারা বজায় রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

শুধু বিজেপি নয় এই জেলায় তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ অবশ্যই ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলার দুই শীর্ষ নেতা উদয়নগুহ ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মধ্যে দ্বৈরথ। দুই বিবাদমান নেতার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পুরনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জেতেনও। তবে এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে এই জেলায় কিছুটা হলেও সমস্যা ছিল নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে। তবে তারা একমাত্র কোরবিহার পুরসভাতেও প্রভাব বিস্তার করেছে। নির্দল প্রার্থীরাও আদতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে একটা সময় যুক্ত ছিলেন। টিকিট না পেয়ে নির্দাল প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন। 

তবে কোচবিহারের ফলাফল আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে এই তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ কথা বলেন দলনেত্রী বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ পুরসভা নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূলের ঝামেলা। যা নিয়ে কিছুটা আশা দেখছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু সেসব ভোটযন্ত্রে উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার মানুষ। তবে এই জেলাতো বটেই বাকি গোটা রাজ্যেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা।  

'রুশ সীমান্ত দিয়ে উদ্ধার করুন', ইউক্রেনের সুমিতে আটকে ৫০০ পড়ুয়ার কাতর আর্জি

দিশা সালিয়ানের মৃত্যু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, মুম্বই পুলিশের সমন নারায়ণ রানে ও ছেলের বিরুদ্ধে

ইউক্রেন থেকে ফেরা ভারতীদের 'জয়হিন্দ' স্লোগান তুলে স্বাগত রাজীব চন্দ্রশেখরের

Share this article
click me!