গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ, তৃণমূলের মতো প্রধান দলগুলিকে পিছনে ফেলে দার্জিলিং পুরসভা দখল করে নিল অজয় এডওয়ার্ডের এই দল। আর তাতেই সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
পুর যুদ্ধে ফের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে তৃণমূল। ১০৮টি পুরসভার ফল প্রকাশ হতে দেখা যায় ১০৩টিতেই জয়ী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে বামেরা পেয়েছে একটি পুরসভা। খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। পাশাপাশি কংগ্রেসের ঝুলিও ফাঁকা। ত্রীশঙ্কু হয়েছে তিনটি পুরসভায়। তবে অশাতীত ভাবে এবারের নির্বাচনে গোটা দার্জিলিং দখল করে সকলে চমকে দিয়েছে হামরো পার্টি। আর এই কারণেই বিনয় গুরুং, অনীত, ঘিসিং, জিম্বাদের থেকে মুখ ফেরালো পাহাড়বাসী। দার্জিলিং পাহাড়ে ফের হয়ে গেল নতুন রাজনৈতিক দলের আর্বিভাব। মাত্র ছ' মাস আগে গঠিত হওয়া হামরো পার্টি দখল করল দার্জিলিং পুরসভা৷ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ, তৃণমূলের মতো প্রধান দলগুলিকে পিছনে ফেলে দার্জিলিং পুরসভা দখল করে নিল অজয় এডওয়ার্ডের এই দল। আর তাতেই সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড ছিলেন জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিষিংয়ের ঘনিষ্ঠ৷ বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে নতুন দল হামরো পার্টি গঠন করেন তিনি৷ গত বছর ২৫ নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করে হামরো পার্টি৷ দল চমকপ্রদ ফল করলেও এডওয়ার্ড নিজে দার্জিলিং পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হেরে গিয়েছেন৷ দার্জিলিংয়ের ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী হয়েছে হামরো পার্টি৷ চারটি জিতেছে বিমল গুরুংয়ের গোর্খ জনমুক্তি মোর্চা৷ অনীক থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্রিক মোর্চা দখল করেছে ৮টি আসন৷ ২টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বিজেপি জিএনএলএফ জোট কোনও আসনই জিততে পারেনি৷
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
এদিকে পাহাড়ে বরাবরই পরিচিত মুখ অজয় এডওয়ার্ডস। গ্লেনারিজ রেস্তোরাঁর কর্তা হিসেবে ব্যবসায়ী মহলে বড় নাম অজয় এডওয়ার্ডস। জিএনএলএফের বড় মুখ হয়েও একুশের বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় অজয়ের। দলে তিনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অজয়। তারপরই গত বছর তার হাত ধরে তৈরি হয়ে যায় নতুন দল। একইসাথে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একটা বিক্ষুব্ধ অংশ এবারের পুরভোটে হামরো পার্টির হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামে। চলে ব্যাপক প্রচারাভিযান। এছাড়াও জিনএলএএফ-এর একটি অংশও অজয়ের দলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছিল। আর সেই কারণেই এবারে পাহাড়ে হামরো পার্টির হাত ধরে বড় জয় এসেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের। এদিকে প্রথম জয় পেতেই খুশির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে হামরো পার্টির কর্মী সমর্থকেরা।