'ভোটে না লড়ে স্ত্রীর ইচ্ছা মতো শেষ বয়সটা হরিদ্বারে কাটাব', বিষ্ণুপুরে তৃণমূল প্রার্থীর পোস্টারে চাঞ্চল্য

সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার পরই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায় একাধিক কেন্দ্রে। আসলে ছুটির দিনে সকাল সকাল ভোট দিতে চলে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। আর ঠিক তখনই তাঁদের চোখে পড়ে সেই এক পোস্টার। 

Web Desk - ANB | Published : Feb 27, 2022 5:27 AM IST / Updated: Feb 27 2022, 11:17 AM IST

সকালে ভোটগ্রহণ (Vote) শুরু হওয়ার পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে। তবে বাঁকুড়ায় (Bankura) নির্বিঘ্নেই চলছে ভোট। সকাল থেকেই ভোটের লাইনে (Voter Line) ভিড় করেছেন সাধারণ মানুষ। আর তার মধ্যেই এক মজার পোস্টার পড়ল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভার (Bishnupur Municipality) ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। 

সকাল ৭টা থেকে ভোট (WB Municipal Election) শুরু হওয়ার পরই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায় একাধিক কেন্দ্রে। আসলে ছুটির দিনে সকাল সকাল ভোট দিতে চলে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। আর ঠিক তখনই তাঁদের চোখে পড়ে সেই এক পোস্টার। বিষ্ণুপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় সব জায়গাতেই সেই পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। ওই পোস্টারে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবব্রত ঘোষের নাম রয়েছে। যদিও সেই পোস্টার তিনি দেননি বলে জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুন- ছাপ্পা ভোট-বহিরাগতর অভিযোগ, গ্রেফতার বিজেপি প্রার্থী-র এজেন্ট, ধুন্ধমার দুই দিনাজপুরে

আরও পড়ুন, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কামারহাটি, রাজ্য পুলিশকেই হুঁশিয়ারি মদনের

ঠিক কী লেখা রয়েছে পোস্টারে? 
'আমি কুচন ঘোষ, আমি ক্ষমা প্রার্থী আপামর বিষ্ণুপুরবাসীর কাছে, আমার জীবনের একটা শেষ ইচ্ছা ছিল ভোটে দাঁড়িয়ে বিষ্ণুপুরের ক্ষমতা দখল করব, তাই ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু, ভোটের শেষ প্রান্তে এসে বুঝলাম আমার এ আশা পূর্ণ হওয়ার নয়, আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল ভোটে দাঁড়ানোটা। আমি বিষ্ণুপুরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, দেবজিৎ কুণ্ডু অনেক কম বয়সী আমার থেকে এবং মানুষ ওকেই চাইছে, আমি ইউক্রেনকে দেখে শিক্ষা নিলাম যে নিজের ক্ষমতা দিয়ে লড়তে হয় অন্যের ভরসায় বা ক্ষমতায়  লড়তে গেলে তীরে তরী ডুবে যায়, আমাকে যারা স্বপ্ন দেখিয়েছিল তা বেইমান মীরজাফর সেটা সারা বিষ্ণুপুর জানে, আমাকে ক্ষমা করুন আমি আর এই ভোটে থাকছি না। আমার স্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী, আমি শেষ বয়সটা হরিদ্বারে কাটাতে চাই। তাই আমাকে ক্ষমা করবেন।'

আরও পড়ুন- ইভিএম আছাড় মেরে ভেঙে ফেলা হল, এজেন্টকে মারধোর, উত্তাল বারাসাত-দমদম

এদিকে ভোট দিতে গিয়ে এই ধরনের পোস্টার দেখে হাসিতে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই পোস্টারে নাম রয়েছে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী দেবব্রত ঘোষের। যদিও সেই পোস্টার দেননি বলে জানিয়েছেন প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল থেকে বহিস্কৃত নির্দল প্রার্থী এই পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন। অবশ্য তাঁর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নির্দল প্রার্থী দেবজিৎ কুণ্ডু। 

উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর পুরসভায় মোট ওয়ার্ড রয়েছে ১৯টি। ভোটার সংখ্যা ৫৯ হাজার ৫৫৬ জন। মোট প্রার্থীদের সংখ্যা ৮২ জন। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ৭০টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৬ টি। এই পুরসভায় যে সমস্যাগুলি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম যানজট, নিকাশি ব্যবস্থা, জঞ্জাল ও ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা। তাই পুরভোটে এবার এই বিষয়গুলির উপরই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

Share this article
click me!