২৭ ফেব্রুয়ারি ৬টি পুরসভায় একযোগে ভোট গ্রহণ হবে। বিধানসভা নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহার। তাই পুরসভা নির্বাচন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ শাসক ও বিরোধীদের কাছে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলা কোচবিহার (Cooch Behar)। এই জেলার ৬টি পুরসভা রয়েছে। সেগুলি হল, মাথাভাঙা (Mathabhanga), মেখলিগঞ্জ (Mekhliganj), কোচবিহার ( Cooch Behar), দিনহাটা ( Dinhata), হলদিবাড়ি (Haldibari), তুফানগঞ্জ (Tufanganj)। ২৭ ফেব্রুয়ারি ৬টি পুরসভায় একযোগে ভোট গ্রহণ হবে। বিধানসভা নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহার। তাই পুরসভা নির্বাচন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ শাসক ও বিরোধীদের কাছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলির মত এই জেলাতেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি। তবে পুরসভা ভোটে বাম বা কংগ্রেস তেমন পিছিয়ে থাকবে না বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কোচবিহার পুরসভা-
কোচবিহারের ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ, মানতে নারাজ তৃণমূল প্রার্থী, সকাল ১০ঃ৪৫ মিনিট
কোচবিহারের সুনীতি একাডেমিতে ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের টিএমসি প্রার্থী অভিজিত দে ভৌমিক কোচবিহার পৌরসভায় ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছবি বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতার আগে থেকেই কোচবিহার পুরসভার অস্তিত্ব রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী ১৯৪৫ সালে ১৮ ডিসেম্বর এই পুরসভা স্থাপিত হয়েছিল। ২০টি ওয়ার্ডের এই পুরসভায়। এই পুরসভার মূল সমস্যা হল নিকাশি সমস্যা। এই পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করছন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
দিনহাটা পুরসভা- ১৯৭৩ সালে ৭ জুন এই পুরসভা স্থাপিত হয়েছি। এই পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। ঘাসফুলের টার্গে সবকটি ওয়ার্ডই নিজেদের দখলে রাখা।
হলদিবাড়ি- এই পুরসভা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২৬ নভেম্বর। এই কেন্দ্রে লড়াইতে নেই বিরোধীরা। ১১টি ওয়ার্ডের ২টি জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকিগুলিতেও তেমন ভাবে চোখে পড়ছে না বিরোধীদের। প্রথম দিকে কংগ্রেসের দখলে থাকলেও পরে বামেরাই আধিপত্য করেছিল এই পুরসভায়। তবে ২০১৪ সাল থেকেই এখানে তৃণমূলের রাজ চলছে।
মেখলিগঞ্জ- ৯টি ওয়ার্ডের মেখলিগঞ্জ পুরসভার দখল নিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচারের ধারে ও ভারে বিরোধীদের থেকে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী। মেখলিগঞ্জে জেতার বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল। দলের নেতা কর্মীদের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই হাতিয়ার এই এলাকা।
মাথাভাঙা- ১২ ওয়ার্ডের মাথাভাঙা পুরসভা দখল করতে মরিয়া শাসকদল। গতবারে এই পুরসভায় পাঁচটি আসন দখল করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই পাঁচটি বিরোধীদের থেকে ছিনিয়ে নিতে জোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। একটা সময় এই কেন্দ্রে বামেদের রাজছিল। এখন বামেরা অস্তমিত। ১৯৮৬ সালের ২৯ মে এই পুরসভা কাজ শুরু করেছিল।
অপহরণ হওয়ার পর ফিরে এসে প্রতিবাদে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করলেন বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাক, দুপুর ২ঃ৫০ মিনিট
রবিবার সকালে ভোটের দিন ভোর বেলায় বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাক-কে অপহরণ করা হয়েছিল তুফানগঞ্জ ১১ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাক অপহরণ করার পর তুফানগঞ্জে ফিরে এসে থানার সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে জানান, কীভাবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তিনি এগারো নাম্বার ওয়ার্ড থেকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করলেন প্রতিবাদে।
কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে বহিরাগতের তাণ্ডব, সকাল ১০ঃ৪৪ মিনিট
কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে বহিরাগতের তাণ্ডব। তাকে গ্রেপ্তার করল কোতোয়ালি থানা। নিজেকে এজেন্ট বলে বিজেপি এজেন্টকে বের করে দেন তিনি বুথ থেকে। কোচবিহার পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। কোচবিহার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার ভোট দিতে এসে দেখে তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে পরবর্তীতে স্লিপের মাধ্যমে তিনি ভোট দান করেছেন বলে জানিয়েছেন।
তুফানগঞ্জে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ, সকাল ১০ঃ৩৮মিনিট
তুফানগঞ্জ পৌর এলাকার 11 নং ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে অপহরণের অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাককে । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এ বিষয়ে তুফানগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে তুফানগঞ্জ এর বিধায়ক মালতি রাভা রায় জানিয়েছেন। বিধায়কের আরও অভিযোগ নিজ বিধানসভা এলাকার মধ্যে তুফানগঞ্জ পৌরসভা হলেও তাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না শহরে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস শহর ব্লক সভাপতির বাড়িতে বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
তুফানগঞ্জ- তুফানগঞ্জ পুরসভার যাত্রা শুরু ১০ মার্চ ১৯৮৩। ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে তিনটি ওয়ার্ড বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে এখনও পরিচিত। সেগুলি হল ৯, ৩, ৪। এই তিনটি কেন্দ্রে জয়ের জন্য রীতিমত মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল।