পুরভোটে টিকিট না পেয়ে 'বেসুরো', পশ্চিম মেদিনীপুরে ২০ জনকে বহিষ্কার তৃণমূলের

বুধবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে প্রাথমিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে সেই তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সাতটি পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা দুই কো-অর্ডিনেটর মান ভুঁইঞা ও অজিত মাইতি ও দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতিরাও।

Web Desk - ANB | Published : Feb 17, 2022 4:47 AM IST / Updated: Feb 17 2022, 10:33 AM IST

পুরভোটের (WB Municipal Election) দামামা রাজ্যে অনেকদিন আগেই বেজে গিয়েছে। আর প্রার্থী তালিকা (Candidate list) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসন্তোষের ছবি দেখা গিয়েছিল। দলের টিকিট (Ticket) না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন অনেকেই। এমনকী, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান তাঁরা। কেউ আবার দলের টিকিট না পেয়ে যোগ দিয়েছেন অন্য দলে, আবার কেউ দাঁড়িয়েছেন নির্দল হয়ে। আর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এমন 'বেসুরো' নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল দল। জেলায় এমন ১৫ জন নেতা যাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে মোট ২০ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল (Suspend From TMC)। ঘাটাল সাংগঠনিক ও মেদিনীপুর সাংগঠনিক নেতৃত্বদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। 

বুধবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে প্রাথমিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে সেই তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সাতটি পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা দুই কো-অর্ডিনেটর মান ভুঁইঞা ও অজিত মাইতি ও দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতিরাও। অজিত মাইতি বলেন, "প্রার্থী না করায় অনেকেই নিজস্ব ক্ষোভ অভিমানে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে প্রার্থী দিয়েছিলেন। অনেকেই পরোক্ষভাবে বিরোধীদের সহযোগিতাও করছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু, সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তারপরই দলের বৈঠকে তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল। যা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে হয়েছে।"

আরও পড়ুন- বাংলা ভাগের দাবি উঠল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথের সামনে, বিতর্কের মুখে বিজেপি বিধায়ক

সেই তালিকায় রয়েছেন খড়্গপুর পৌরসভা এলাকার ৫ জন নির্দল প্রার্থী, মেদিনীপুর পৌর এলাকার ৭ নির্দল প্রার্থী, ক্ষীরপাই পৌরসভা এলাকার একজন, রামজীবনপুর ও চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকায় দু'জন। দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা নেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন খড়গপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী রিনা শেঠ, রয়েছেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী জয়া পাল, এছাড়াও কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়াই করতে নামা ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জগদম্বা গুপ্ত, ২৪ নম্বরের তপন প্রধান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুমিতা দাসরা। এছাড়াও বহিষ্কৃত হেভিওয়েটদের তালিকায় রয়েছেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এরশাদ আলি,২০ নম্বর ওয়ার্ডের হিমাংশু মাইতি ও তাঁর পুত্রবধূ সোমা মাইতি, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিশ্বেশ্বর নায়েক ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতা নায়েক। এছাড়াও রয়েছেন, অঞ্জনা রায়,মানস দাস,তাপস দে, সঞ্জিত আণ্ডিয়া, স্বপন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি চৌধুরী সহ অনেকেই। 

আরও পড়ুন- ডাকাতির টাকায় প্রেমিকাকে আইফোন, হবু শাশুড়িকে ফ্লাট - বেলিসিয়াস রোডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে শুধুমাত্র তৃণমূলের মধ্যেই নয়, এই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপির অন্দরেও। সেখানেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বহু প্রার্থীকেই। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মেদিনীপুর পৌরসভা ও ঘাটাল পৌরসভা এলাকাতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ৫ বিজেপি নেতা। তাঁদেরও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস।

আরও পড়ুন- ১০৮ পুরভোটের গণনা কবে, বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে কি

Share this article
click me!