সংক্ষিপ্ত
বাংলা ভাগের দাবি হামেশাই উঠে আসছে। যা নিয়ে সর্বদাই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সামনে প্রকাশ্যেই বাংলা ভাগের দাবি জানালেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায়। যাকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিজেপি বিধায়ক। যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লাও উত্তরবঙ্গকে স্বাধীন রাজ্য ঘোষণা করার দাবি তুলেছিলেন , যা নিয়েও সেই সময় জোর জলঘোলা হয়েছিল। পরে যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব রুখে দাঁড়ানোয় তা ধামাচাপা পড়ে যায়।
বাংলা ভাগের দাবি হামেশাই উঠে আসছে। যা নিয়ে সর্বদাই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nishith Pramanik) সামনে প্রকাশ্যেই বাংলা ভাগের দাবি জানালেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) মালতি রাভা রায় (Malati Rava Roy)। যাকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিজেপি বিধায়ক। যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লাও উত্তরবঙ্গকে স্বাধীন রাজ্য ঘোষণা করার দাবি তুলেছিলেন , যা নিয়েও সেই সময় জোর জলঘোলা হয়েছিল। পরে যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব রুখে দাঁড়ানোয় তা ধামাচাপা পড়ে যায়।
বুধবার রাজবংশী বীর সেনাপতি চিলা রায়ের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচীতে আমন্ত্রিত হয়ে আবার সেই বাংলা ভাগের দাবিকে উস্কে দিলেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায়। তবে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই। রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজ আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে গিয়ে মালতি (Malati Rava Roy) বলেন, উত্তরবঙ্গ নিয়ে পৃথক ঘোষণার দাবি আমাদের তো রয়েইঠে, এর পাশাপাশি আমাদের দাবি, বীর চিলা রায়ের কাহিনি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা এখনও চিলা সম্পর্কে কিছুই জানে না , ওদেরকে জানাতে হবে যে চিলা রায় শুধু কোচবিহার নয়, গোটা ভারতবর্ষের গর্ব। গত বছর জুলাই মাসেও একই দাবি তুলেছিলেন বার্লা। সেই সময় রাজ্য আলাদা করার প্রস্তাব এককথায় নাকচ করে দেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-এবার দুয়ারে শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে অভিনত উদ্যোগ
আরও পড়ুন-তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ, প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
আরও পড়ুন-স্কুল খুললেও করোনা আতঙ্কে দেখা নেই পড়ুয়ার, বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন শিক্ষকরা
দিলীপ ঘোষেরা সটান জানিয়ে দেন, এই প্রস্তাব একান্তই বার্লার ব্যক্তিগত। এই প্রস্তাবে দলের কোনও সায় নেই। কিন্তু তারপরেও বার্লা একাধিকবাক বলেছেন, স্থানীয় মানুষদের দাবি মেনে উত্তরবঙ্গ বিভাজনের প্রয়োজন রয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্কের আবহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হয় বার্লার। এবং তখনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন নিশীথ (Nishith Pramanik) । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরেও বার্লাকে আগের মতোই রাজ্য ভাগাভাগি করা নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গেছে। তবে সংযত থেকে পুরো বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন নিশীথ (Nishith Pramanik) । বুধবারও রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজ আয়োজিত কর্মসূচিতে নিশীথ বাংলা ভাগ নিয়ে সরাসরি কিছু না বলেও কোচবিহারবাসীর মুক্তির কথা তার মন্তব্যে উঠে এসেছে। এদিন (Malati Rava Roy) মালতি ও নিশীথের (Nishith Pramanik) আগেই অনন্তের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) I সেখানে রাজ্যের নারায়ণী সেনায় অনন্তের অনুগামী যুবকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন । তবে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরেই মালতি বাংলা ভাগের দাবি তোলায় বিষয়টি নিয়ে ফের জলঘোলা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।