শুভেন্দু অধিকারী নয়, কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপেই বিদ্যুৎ পেল পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রাম, সাধুবাদ বাসিন্দাদের

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সমস্যার কথা শুনে ৫ মিনিটেই সমাধান করার কথা বলেছিলেন কুণাল ঘোষ। তারপরই বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছে। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 24, 2023 9:11 AM IST

১০ বছর ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদনের পর আবেদন করেই গিয়েছেন বাসিন্দারা। সোমবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে অপ্রত্যাশিতভাবে সেই সমস্যারই সুরাহা পেয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের অন্ধকারে ডুবে থাকা দুটি গ্রাম। হলদিয়ার বিষ্ণুরামচক ও সৌতনচক গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে গেল বিদ্যুৎ সংযোগ। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেন এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী নন, বরং বাংলার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেই সাধুবাদ দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা।


 

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শাসকদলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রাম দেখাশোনার দায়িত্বভার কুণাল ঘোষের ওপর যেতেই দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ এসে গেছে এই দুটি গ্রামে। ১০ বছর ধরে এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করা চলছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 



এবিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘গ্রামে ঘুরলাম। উৎসবের পরিবেশ। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শিলিগুড়ি থেকে ফোনে ভাষণ দিলেন। পরের মাসে আসবেন। বহু বাড়িতে গেলাম। একেবার হইহই কাণ্ড। গত পুরভোটে বিজেপির প্রার্থী জয়ন্তী মল্লিকের বাড়িতেও গেলাম। সেই দিদিও উচ্ছ্বসিত।’

এলাকার তৃণমূল নেতাদের দাবি, নন্দীগ্রামের ৯৯ টা মৌজায় বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে অনেক আগেই। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সংযোগ চলেও এসেছে। কিন্তু একটা পাড়াতে সমস্যা থেকে গিয়েছিল। ১০ বছর ধরে বলেও কোনও কাজ হয়নি। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সমস্যা মেটেনি। এক মাস আগে তৃণমূলের একটি বৈঠকে এই প্রসঙ্গ সামনে আসে। এলাকার তৃণমূল নেতারা জানান, এমন একটি জায়গা আছে যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ তো দূরের কথা, একটা খুঁটি নিয়ে যাওয়াও দুষ্কর। 

তাঁদের দাবি, সমস্যার কথা শুনে ৫ মিনিটেই সমাধান করার কথা বলেছিলেন কুণাল ঘোষ। তারপরই বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছে। সে কারণেই কুণাল ঘোষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। কুণাল ঘোষ অবশ্য এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর অনুরোধে দ্রুত কাজ করে দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে, নন্দীগ্রামের ‘ভূমিপুত্র’ বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর দেখার জন্য, তাতেও কেন হলদিয়ার দুটি গ্রাম এতদিন বিদ্যুৎ পায়নি? কেন নন্দীগ্রামের একাধিক পরিবার বিদ্যুৎ পায়নি? তাঁর দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে যাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তিনি রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। শুধু তাইই নয়, মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। যে কাজগুলো করার দরকার ছিল, সেগুলোও করেননি।’


 

আরও পড়ুন-

পঞ্চায়েত ভোট থেকেই বাঙালি আবেগে শান দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির, মঙ্গলবার নদিয়ায় বিজেপির রোড শো-এ মিঠুন চক্রবর্তী
৩ দিন পরেই মেঘালয়ে নির্বাচন, তার আগে তৃণমূলের ইস্তাহার প্রকাশ করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেস মোইনেস থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একের পর এক গুলিবর্ষণকাণ্ডে রক্তাক্ত আমেরিকা

Share this article
click me!