
পশ্চিমবঙ্গে মকর সংক্রান্তির পর থেকেই কমতে শুরু করেছিল শীতের আমেজ। চলতি সপ্তাহে আসছে সরস্বতী পুজো। উৎসবের দিনেও শীতের আমেজ মিলবে না বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকে এমন হু হু করে বাতাসের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যার জেরে অন্তত আগামী ৩-৪ দিন, অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ঠান্ডার আমেজ খুব-একটা মালুমই হবে না দক্ষিণবঙ্গে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বর্তমানে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যদিও ঝঞ্ঝাটির অবস্থান রয়েছে পূর্ব আফগানিস্তানের ওপর। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গে উত্তরের শীতল বাতাস ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। অপরদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। যার পরোক্ষ প্রভাব বাংলাতেও পড়বে। ফলত, সরস্বতী পুজো পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডার আমেজ পাওয়ার কোনওরকম সম্ভাবনা নেই বঙ্গে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে গেলে, আগামী ২৭ তারিখ আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব উত্তর-পশ্চিম ভারতে পড়বে। তার ফলে, আবার পূর্ব ভারতে শীতের দাপট কমবে।
মঙ্গলবার সকালে শহরের তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই, সেটাও স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ ডিগ্রি বেশি। আগামী দু-দিনের মধ্যে এই তাপমাত্রা আরও বেড়ে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছবে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও আরও বাড়বে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। বর্তমানে রাত এবং দিন তাপমাত্রা, উভয়ের তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের থেকে ৩-৪ ডিগ্রি বেশি রয়েছে এবং আগামী কয়েকদিন এরকমই চলবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। অর্থাৎ সরস্বতী পুজোর দিন, শীতের জামাকাপড় ছেড়ে অনায়াসে বাসন্তী শাড়ি আর পাঞ্জাবির ঢল দেখতে পাওয়ায় যে কোনও বাধা থাকছে না, সেই বিষয়ে কিছুটা নিশ্চিন্তই থাকছেন আগ্রহীরা।
আরও পড়ুন-
ক্রমবর্ধমান বাজারদরের মধ্যেও লাগাম এসেছে জ্বালানির দামে, মঙ্গলবার কোন রাজ্যে কত হল পেট্রোলের দর?
সেপ্টেম্বরেই ভারতে আসতে চলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা
একজনের সিম কার্ড, ব্লক করে সেটির মালিক হয়ে গেলেন অন্য কেউ! অভিনব কায়দায় হওয়া চুরি ফাঁস করল কলকাতা পুলিশ