২০২২ সাালে ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ওই বছরই ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া।
২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলার শুনানি শেষ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। দুই দিনের মধ্যে সব পক্ষকেই নিজেদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। কবে রায়দান করা হবে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
২০২২ সাালে ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ওই বছরই ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুয়োগ পাওয়ার আবেদন জানিয়েছে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ কিছু প্রার্থী। কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন তারা তাদের ডিএলএড কোর্টের সার্টিফিকেট ছিল না। সেই মামলায় যায় সুপ্রিম কোর্টে।
সেই মামলাতেই প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। পরবর্তীতে প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ করে ৯ হাজার ৫৩৩ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরে মামলা ফেলে কলকাতা হাইকোর্টে।
এরই মধ্যে ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরিপ্রার্থীদের তরফের আইনজীবী বলেন, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকুরিরতদের ভবিষ্যতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে কী রায় দেয় শীর্ষ আদালত সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মামলাকারীরা।
সুপ্রিম কোর্টে আজ উভয় পক্ষের আইনজীবীরা বিস্তারিত যুক্তি উপস্থাপন করেন। পিটিশনকারীদের পক্ষে জোর দেওয়া হয়। বলা হয়, 'সেশন পিছানো হলেও ডিগ্রি ও টেটের মানদণ্ড পুরণ করেছে প্রার্থীরা। নিয়োগে বধা দেওয়া উচিৎ নয়।' অন্য়দিকে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, 'নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী শুধুমাত্র নির্দেষ্ট সেশনের প্রার্থীদেরই সুযোগ দেওয়া সম্ভব।' শুনানির শেষে বিচারপতি রায় প্রকাশ না করে তা রিজার্ভ করেন। বিশেষজ্ঞদের কথায় রায় যদি পিটিশনকারীদের পক্ষে যায় তহলে অবিলম্বে বকি ২২৩২ পদে নিয়োগ প্রক্রিয় শুরু করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদ। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থায় এই নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রায় দুই বছর ধরে ঝুলে থাকা এই মামলার নিষ্পত্তি এখন সবার চোখ আদালতের দিকে। নিয়োগ প্রত্যাশী হাজারো তরুণ-তরুণীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই রায়ের ওপর।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।