কলকাতায় বাংলাদেশের ১১ প্রতিনিধি, গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা

Published : Mar 03, 2025, 02:56 PM ISTUpdated : Mar 03, 2025, 04:01 PM IST
Singatalur Barrage

সংক্ষিপ্ত

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সোমবারই ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করবেন। সেখানেই গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ ও অবস্থা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। 

পাঁচ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে ইন্দো-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সোমবার মোট ১১ জন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ভারত-বাংলাদেশ জল বন্টন চুক্তির বিষয় খতিয়ে দেখতে ভারতে এসেছেন। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দিল্লি থেকে বঙ্গে এসেছেন। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের সদস্যরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। গঙ্গা- পদ্মা জলবন্টন চুক্তি পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা আর পর্যালোচনা এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সোমবারই ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করবেন। সেখানেই গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ ও অবস্থা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ফারাক্কা ব্যারাজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নদীর জল বণ্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গঙ্গা থেকে নির্ধারিত পরিমাণ জল কীভাবে পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবেন দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা।

আগামী ৭ মার্চ কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে বৈঠক হবে। সেখানে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাই উপস্থিত থাকবেন। গঙ্গার জলবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীগুলির বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তিস্তা নদীর জলবন্টন চুক্তি দীর্ঘ দিন ধরেই ঝুলে রয়েছে। তিস্তার জলের দাবি বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছে।

১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ফলে দুই দেশ গঙ্গার জল ভাগ করে নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে এটি শেষ হবে। আগামী বছর চুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন করে কিছু পর্যালোচনা ও সংশোধন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ গঙ্গার প্রবাহ ও বণ্টন নিয়ে নিয়মিত বৈঠকে বসে।

জল নিয়ে বাংলাদেশ একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারনা এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ জল নিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে চায়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে জলবণ্টন চুক্তি কী হতে পারে তা নিয়েও আলোচনা করতে চায়। তারই জন্য এখন থেকেই আঁটঘাট বেঁধেই নামছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Suvendu Adhikari: ওয়াকফ ইস্যুতে মমতাকে একহাত নিলেন শুভেন্দু! সব প্রমাণ ফাঁস করলেন আজ
Arjun Singh: খড়দহে BLO-র বাড়িতে হামলা, সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী অর্জুন সিংয়ের