রাজ্যের শিক্ষা ব্যাবস্থায় বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা, বাংলায় ৫ম থেকে ৮ম পর্যন্ত ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছেড়েছে

একই সমীক্ষা আরেকটি বিপজ্জনক ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেছে। এই সমীক্ষার আওতায় ২২টি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে নথিভুক্ত মোট ছাত্রদের প্রায় ৪২ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড দ্বারা পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি

ফের প্রশ্ন বাংলা স্কুল ব্যবস্থা বিশেষত রাজ্যের শিক্ষাবন্যবস্থা নিয়ে। সম্প্রতি সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুলছুটদের তালিকা বা স্কুল ড্রপআউটদের পড়ার হার নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে যে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে নথিভুক্ত ছাত্রদের ২২ শতাংশ স্কুল ছেড়ে দিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, উচ্চ প্রাথমিক শ্রেণী অর্থাৎ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত, এবং মাধ্যমিক স্তর ৯-১০ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল ছুটের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি। CPI(M)-এর পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের একটি নমুনা সমীক্ষা অনুসারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২২টি স্কুল কভার করে, এটি পাওয়া গেছে যে পঞ্চম শ্রেণীতে নথিভুক্ত ছাত্রদের ২২ শতাংশ নবম শ্রেণীর আগেই স্কুলছুটদের তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে।

হারের নিম্নগামী গ্রাফ বলছে সংখ্যাটা চার লাখের বেশি

Latest Videos

একই সমীক্ষা আরেকটি বিপজ্জনক ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেছে। এই সমীক্ষার আওতায় ২২টি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে নথিভুক্ত মোট ছাত্রদের প্রায় ৪২ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড দ্বারা পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি৷ WBBSE রেকর্ড অনুসারে, ২০২৩ সালে বোর্ড দ্বারা পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২০২২ সালের তুলনায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা চার লাখেরও বেশি কমেছে।

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ড্রপ আউটের হার

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন যে তার মতে সমীক্ষার ফলাফলগুলি অত্যন্ত রক্ষণশীল বলে মনে হচ্ছে। তার মতে, মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছুটের হার আরও অনেক বেশি। তিনি বলেন আমি যে স্কুলে প্রধান শিক্ষক, সেখানে এ বছর নবম শ্রেণিতে প্রায় ৪০ শতাংশ ড্রপ আউট হয়। স্কুল ছেড়ে দেওয়ার এই প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ওই প্রধান শিক্ষকের মতে কোভিড-১৯ মহামারীর পর ড্রপ আউটের গতি বেড়েছে।

CPI(M) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, স্কুল ড্রপআউটদের স্কুলে ফিরে যেতে উত্সাহিত করার উদ্যোগ নেওয়ার কোনও চেষ্টা রাজ্য সরকারের মধ্যে নেই। আকাশছোঁয়া দুর্নীতিতে ভারাক্রান্ত রাজ্য শিক্ষা বিভাগের জন্য অগ্রাধিকার নয় এই সমস্যা। তিনি বলেন, রাজ্যের শিক্ষা দফতর এই ভিত্তিতে উদ্যোগ না নেওয়া পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকার। সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, সমস্যা আরও বাড়বে, সেই সঙ্গে বাড়বে রাজ্যে স্কুল ছুটের সংখ্যাও। 

Share this article
click me!

Latest Videos

দেখা যাক ২৬-এর মসনদ কার দখলে যায়? Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Agnimitra-র
'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
Live | India vs Australia : পারথে সাড়ে তিন দিনে টেস্ট জয়, বিদেশের মাটিতে ভারতের সেরা সাফল্য?