একাধিক বৃহৎ নির্মাণ সংস্থার বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় বুধবার সকাল থেকে বন্দর এলাকার আর এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ আলমের মোমিনপুরের বাড়ি ও চেতলা হাটের অফিসেও তল্লাশি চালাতে শুরু করেছে আয়কর দফতর।
কয়েক দিন আগেই রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের নিউ আলিপুরের ফ্ল্যাটে ৭০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর। তাদের কাছে থাকা গোপন তথ্য অনুযায়ী প্রায় সাড়ে পাঁচশো তৃণমূল নেতার বেআইনি লেনদেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে তাঁরা ঘুরপথে নানারকম আর্থিক লেনদেন করে থাকেন, যাতে স্বচ্ছতার বেশ অভাব রয়েছে।
একাধিক বৃহৎ নির্মাণ সংস্থার বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় বুধবার সকাল থেকে বন্দর এলাকার আর এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ আলমের মোমিনপুরের বাড়ি ও চেতলা হাটের অফিসেও তল্লাশি চালাতে শুরু করেছে আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের দাবি, দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে একাধিক নির্মাণ সংস্থায়। তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। মহম্মদ আলমের বাড়িতে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার এক আধিকারিক বলেন, “আলমের বাড়িতে বুধবার সকাল থেকে তল্লাশির পরে রাতে কয়েক ঘণ্টা বিরতি ছিল। ফের শুরু হওয়া তল্লাশি বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত চালানো হতে পারে। প্রয়োজনে শুক্রবারও তল্লাশি চলবে।” এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্য ও অফিস কর্মচারীদের। আয়কর অফিসারদের সূত্রে দাবি, ওই নেতার মোবাইলের সমস্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
এদিকে, দিন কয়েক আগেই স্বরূপের বাড়িতে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা টানা ৭০ ঘণ্টা তল্লাশি চালান। তবে ৩ দিন ধরে যে তল্লাশি চালানো হল, তাতে কী তথ্য বা নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। এর আগে রাজ্যের কোনও নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে এত দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালানো হয়নি। সেই হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন স্বরূপ। শাসক দলের এই নেতা আয়কর হানাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেও জানিয়েছেন স্বরূপ ও জুঁই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।