খুন নাকি আত্মহত্যা? হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার অর্ধনগ্ন ঝুলন্ত দেহ। তাঁর গলায় গামছার ফাঁস এবং শরীরের পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খুন নাকি আত্মহত্যা? হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার অর্ধনগ্ন ঝুলন্ত দেহ। তাঁর গলায় গামছার ফাঁস এবং শরীরের পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যদিও মৃতার পরিবার অভিযোগ করেছে, খুন করে ঐ মহিলাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এক্ষেত্রে প্রেমিকের বিরুদ্ধেই এই খুনের অভিযোগ তুলেছেন তারা।
রবিবার, সকালে কল্যাণী মোড়ের এক হোটেল থেকে ঐ মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত মহিলার নাম যুথিকা। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, শনিবার বিকেলে যুথিকা এবং তাঁর প্রেমিক সঞ্জীব একসঙ্গে সেই হোটেলে আসেন। তারা একটি ঘরও ভাড়া করেন সেখানে।
জানা যাচ্ছে, সঞ্জীব এবং যুথিকা দুজনেই একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকদিন ধরেই পরকীয়া চলছিল। ক্যাটারিং ব্যবসার সুবাদে দীর্ঘদিনের আলাপ ছিল তাদের দুজনের। আর সেই আলাপ থেকেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। দুজনেই যেহেতু বিবাহিত, তাই তারা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতেন।
যদিও শনিবার রুম ভাড়া নেওয়ার পর হোটেলের ঘরে সঞ্জীব এবং যুথিকার মধ্যে আদৌ কোনও ঝামেলা হয়েছিল কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু রবিবার, ভোর ৫টা নাগাদ ঐ ঘর থেকেই যুথিকার দেহ উদ্ধার করে মোহনপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসেন যুথিকার পরিবারের সদস্যরাও। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।। তবে চিকিৎসকেরা সেখানে যুথিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, যুথিকার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও পিঠে এবং শরীরেরও একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই কখনোই এটা আত্মহত্যা হতে পারে না বলেই দাবি করছেন তারা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।