
মোবাইলে গেম খেলতে গিয়ে যুবক বিয়ে করে ঘরে আনল বউ। মোবাইলের দোকানের কর্মীর এমন কাজে সকলেই বলছেন খেলে ও ট্রফি জিতে এনেছে। যুবক নববধূকে বাড়ি আনতেই বউ দেখতে ভিড় লেগে যায়। এ যেন একেবারে সিনেমার মতো ঘটনা। ঘটনাস্থল নদিয়া জেলার শান্তিপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুব্রত বিশ্বাস শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন একটি মোবাইলে দোকানে কাজ করতো। করোনা সময় দোকান বন্ধ থাকায় গেম খেলাতেই মন দেন তিনি। ফ্রী ফায়ার গেম খেলার সময় পরিচয় হয় একটি মেয়ের সঙ্গে। তবে একদিন যুবতীর কণ্ঠস্বর ভেসে আসার পর আগ্রহ বশত গেমের মেসেঞ্জারে যোগাযোগ নাম্বার বিনিময় হয়। এরপর ঘনিষ্ঠ পাটনার হয়ে অনলাইনে চলে কথা । এরপর সেই কথোপকথন থেকেই হয় বন্ধুত্ব এবং শেষে প্রেম। যার অন্তিম পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় বর্তমানে বিয়ে।
গেম খেলা চলাকালীন আলাপ হয় সন্তোষপুর গার্ডেনরিচ এর বাসিন্দা প্রীতি প্রামাণিকের সঙ্গে। প্রীতিদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল ছিল না। বাবা পেশায় ভ্যানচালক, বাড়িতে রয়েছে ছোট ভাই এবং মা। সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়লেও আর্থিক অনটনের জন্যেই বেছে নিতে হয়েছিল পরিচারিকার কাজ। একটা সময় তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পালিয়ে বিয়ে করার। কিন্তু পরিবারকে বোঝানোর পরে পরিবার থেকে মেনে নেয় তাদের দুজনের সম্পর্ক। এবং গতকাল সকলে মিলে তাদের চার হাত এক করে দেয়।
বিয়ের পর সুব্রত এবং প্রীতি জানাচ্ছে, বর্তমানে সংসার এবং কর্মব্যস্ততা চাপে আর গেম খেলা হয় না। তবে গেমের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমন মন্দ দিকও রয়েছে। বিশেষ করে তারা বাচ্চাদের বেশি সময় ধরে মোবাইল গেম এর প্রতি আসক্ত হতে বারণ করলেন। এই ঘটনার পর সুব্রতর বন্ধুরা মজার ছলে বললেন, যেসব ছেলেরা এখনও অবিবাহিত তারা একবার অবসর সময়ে গেম খেলে যাচাই করে দেখতেই পারেন, ভাগ্য ভালো থাকলে গেম খেলেই পেয়ে যেতে পারেন নিজের প্রিয় জনকে। অন্যদিকে প্রতিবেশীরা দেখতে এসেছেন যুবকের গেমের বউ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।