এই কেন্দ্রের ভোট বাতিলের দাবি তোলেন শুভেন্দু। তাই কি চিন্তায় অভিষেক! প্রশ্ন উঠছে। কী বলছেন তিনি। অভিষেক জানাচ্ছেন, গণনার দিন প্রার্থীদের গণনাকেন্দ্রে, কাউন্টিং এজেন্টদের পাশে থাকতে হবে।
রাজ্যে সপ্তম ও শেষ দফার ভোট মিটেছে। এবার পালা ফলপ্রকাশের। তবে ডায়মন্ড হারবারের ফল নিয়ে বেশ চিন্তায় এখানকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন 'হরিয়ানা, বিহারে দেখতাম, শুনতাম। তবে এবার নতুন প্রবণতা দেখা গিয়েছে। যেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম আছে, তাঁদেরকে বিভিন্ন জায়গায় আটকানো হয়েছে। এবং শেষপর্যন্ত কয়েক লক্ষ হিন্দু আজকে ভোট দান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যার বেশিরভাগ অংশটাই, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে।'
এরপরেই এই কেন্দ্রের ভোট বাতিলের দাবি তোলেন শুভেন্দু। তাই কি চিন্তায় অভিষেক! প্রশ্ন উঠছে। কী বলছেন তিনি। অভিষেক জানাচ্ছেন, গণনার দিন প্রার্থীদের গণনাকেন্দ্রে, কাউন্টিং এজেন্টদের পাশে থাকতে হবে। এজেন্টদের মনোবল বাড়াতে হবে। যতক্ষণ না ফলাফল বেরোচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত কোনও এজেন্ট যাতে গণনাকেন্দ্র ছেড়ে না বেরোন। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন নন্দীগ্রামের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন এবারের লোকসভায় না হয়। গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অতন্দ্র প্রহরীর মতো বসে থাকতে হবে বুথে। অভিষেকের বার্তার পরেই কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে প্রার্থী ও জেলা সভাপতিদের বৈঠক হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কীসের জন্য এই প্রহরা! তৃণমূল সেনাপতির কথায়, অতীতেও এমন একাধিক বুথফেরত সমীক্ষা হয়েছে, যার সঙ্গে বাস্তবের ফলাফল কখনও মেলেনি। তাই এ নিয়ে আলাপ আলোচনা বা অতিরিক্ত কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন। বুথফেরত সমীক্ষা যা-ই দেখাক না কেন, তৃণমূল ভাল ফল করবে বলেই আত্মবিশ্বাসী অভিষেক।
শনিবার শেষ দফার নির্বাচন মিটতেই এক্সিট পোল বা ভোট পরবর্তী সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করা শুরু করে দিয়েছে সমস্ত সংবাদ মাধ্যম। কোথায় কে জিতছে, কত আসনে কে জিতছে, কোন রাজ্যে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে সব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়ে গিয়েছে। বাংলার দিকে নজর রাখলে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৯০ শতাংশ এক্সিট পোল বলছে রাজ্যে এবার সবুজকে হারিয়ে উঠবে গেরুয়া ঝড়। এই সমীক্ষা সব ভুয়ো, মিথ্যা বলে আগেই জানিয়েছেন মমতা। এবার অভিষেক দলের কর্মীদের বার্তা দিলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে বুথফেরত সমীক্ষা দেখানো হচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।