ক্রেতা সেজে প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসের খোঁজে দেগঙ্গার হাদিপুরে অভিযান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জেনারেল এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টির। হাদিপুরের বাসিন্দা আসাদুজ্জামানের বাড়ি থেকেই প্রচুর পরিমানে প্রাচীন প্রত্নতাত্বিক জিনিস বাজেয়াপ্ত
দেগঙ্গার চন্দ্রকেতুগড়েই ছিল মৌর্য এবং কুষান সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ। স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামানের বাড়ি থেকেই প্রচুর পরিমানে প্রাচীন প্রত্নতাত্বিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জেনারেল এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টি। যার বাজার মূল প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
ক্রেতা সেজে প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসের খোঁজে শুক্রবার দেগঙ্গার হাদিপুরে অভিযান চালান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জেনারেল এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টি। দেগঙ্গা থানার পুলিশের সহায়তায় এদিন হাদিপুরের বাসিন্দা আসাদুজ্জামানের বাড়ি থেকেই প্রচুর পরিমানে প্রাচীন প্রত্নতাত্বিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন তারা। বাজেয়াপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসের আনুমানিক মুল্য ১০০ কোটি টাকা হতে পারে বলেই ধারনা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল বিপ্লব রায়ের। তিনি
দেগঙ্গার চন্দ্রকেতুগড়েই ছিল মৌর্য এবং কুষান সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ । প্রায় চার হাজার বছর আগের প্রাচীন ভারতের এই দুই সাম্রাজ্যের ব্যাবহৃত জিনিসপত্র মাটির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিল। চন্দ্রকেতুগড়ের হদিশ পাওয়ার পরেই স্থানীয় হাদিপুরের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র নিজের সংগ্রহে রেখেছিলেন বলেই কানাঘুষো ছিল। বেশ কিছুদিন আগেই পুরোটাই জানতে পারেন অ্যাড মিনিস্ট্রেটর জেনারেল এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টি। সবদিক খতিয়ে দেখে শেষপর্যন্ত ক্রেতা সেজেই হানা দেন তারা। অতি প্রাচীন এই প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস গুলো হাদিপুরের বাসিন্দা আসাদুজ্জানের দোতলার তিনটি ঘরেই রাখা ছিল। কেনার টোপ দেওয়াতেই আসাদুজ্জামান তার গোডাউনে মজুত রাখা সব জিনিস গুলো একে একে বার করতে থাকেন। যা দেখে রীতিমত চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসগুলির মধ্যে ছিল হাতির দাত,হরিনের পা,প্রাচীন দেবদেবীর মূর্তি সহ অন্যান্য সামগ্রী । বিশেষ এক ধরনের পাথরও পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল বিপ্লব রায় বলেন,রাজ্য সরকারের ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টি প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র নিয়ে একটা মিউজিয়াম তৈরি করছে। আর্কেলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার থেকেও কিছু জিনিস সংগ্রহ হয়েছে। শেষে চন্দ্রকেতুগড়ে এসে আমরা আসাদুজ্জামানের নাম জানতে পারেন। সেই জন্যই ক্রেতা সেজেই এখানে যান। তারপরই হদিশ পান প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রীর। তিনি বলেন, আসাদুজ্জামানের সংগ্রহের ১৫ হাজারের বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০ রকমের জিনিসের সার্টিফিকেট রয়েছে আর্কেওলজির। বাকি গুলোর কোন সার্টিফিকেট নেই। আমরা সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেছি। এর বাজার মুল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
প্যারাগ্লাইডিংএর অ্যাডভেঞ্চারই হল কাল! নেপালের বিমান দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল ৫ ভারতীয়র
বিয়ে প্রেম আর চাকরিতে বাধা! আগুনের এই প্রতিকারেই খুলবে ভাগ্যের জট
নেপালে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার পাঁচটি সম্ভাব্য কারণ, দ্রুত তদন্তের নির্দেশ সরকারের