
Rooftop Restaurants Closed: ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) পথেই হাঁটলেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। কলকাতার পর এবার বিধাননগরের সব রুফটপ ক্যাফে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হল। গত মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বড়বাজার অঞ্চলের মেছুয়াবাজারের ঋতুরাজ হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা। এই অগ্নিকাণ্ডের পরই রুফটপ রেস্তোরাঁগুলির নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠে আসে। তারপরেই শুক্রবার রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বৈঠক করে কলকাতার সব রুফটপ ক্যাফে তালিকাভুক্ত করে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। কলকাতার মেয়রের পর বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও শুক্রবার বোর্ড মিটিংয়ে বিধাননগরের রুফটপ রেস্তোরাঁগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর নির্দেশে কলকাতার পর এবার বন্ধ হতে চলেছে বিধাননগরের রুফটপ ক্যাফেগুলিও।
বিধাননগর পুরনিগমের মেয়রের নেতৃত্বে আরও আলোচনা হয় যে পুরসভায় ওয়ার্ডভিত্তিক কতগুলি ‘রুফটপ’ রেস্তোরাঁ আছে, তার তালিকা তৈরি করতে হবে বিধাননগর পুরনিগমকে। সেই তালিকা তুলে দেওয়া হবে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে, ক্যাফে বন্ধের কাজ কার্যকর করার জন্য। ক্যাফেগুলি হঠাৎ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া প্রসঙ্গে বিধাননগরের মেয়র বলেন, ‘আমরা কোনও ব্যবসারই বিপক্ষে নই। তবে আমাদের কাছে মানুষের জীবনই প্রধান। সেই জীবন বাঁচাতে রাজ্য সরকার এবং আমাদের পুরসভা অঙ্গীকারবদ্ধ। মেছুয়াবাজারের ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে রুফটপ’ রেস্তোরাঁ থেকে কী ঘটতে পারে! সেই কারণে পুরমন্ত্রীর নির্দেশে সেই সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’ এছাড়াও মেয়র আরও বলেন, 'কোনও অ্যাপার্টমেন্ট বা বাড়ির ছাদ এবং নীচের তলা বিক্রি করা যাবে না।' এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'যেমন কেউ নীচতলা বিক্রি করতে পারে না, তেমনি ছাদও বিক্রি করা যাবে না। এটি একটি সাধারণ স্থান এবং এটি সকলের জন্য। কারণ যদি নীচে আগুন লাগে, তাহলে লোকেরা ছাদে আশ্রয় নিতে যেতে পারে অথবা ভবিষ্যতে উদ্ধারকার্যে আটকে পড়াদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারি। একইভাবে, যদি উপরে আগুন লাগে, তাহলে নীচতলায় একটি সাধারণ স্থান ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই ছাদ এবং নীচের তলা বিক্রি করা যাবে না।'
ঋতুরাজ হোটেলের অগ্নিকাণ্ডে যথেষ্ট অনিয়ম ও অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে তদন্তে। ক্যাফেতে আসা লোকজন পালাতে না পারায় শ্বাসরোধেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। বড়বাজার এবং জোড়াসাঁকো অঞ্চলের হোটেল, বাজার এবং ব্যবসায়ীদের কঠোর সতর্কতা জারি করার নির্দেশ দেন যাতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনও অমান্য না হয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।